করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম নগরে চারটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) এলাকায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত প্রতিরোধ ও মোকাবেলা কমিটির প্রথম সভায় এ কথা জানানো হয়।
চসিক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, বিআইটিআইডি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম অঞ্চল এর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. গাজী গোলাম মাওলা, উপ পরিচালক মো. সুলতান মিয়া, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ, সমাজ সেবা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম এর পরিচালক নুসরাত সুলতানা, পরিবার পরিকল্পনা পরিচালকের প্রতিনিধি আমির হোসেন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবদুস সাত্তার প্রমুখ। এর আগে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে সভাপতি এবং চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে করোনা মোকাবিলায় ও প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিতে চট্টগ্রাম প্রস্তুত রয়েছে। করোনার চিকিৎসায় ফৌজদারহাট বিটিআইটি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতাল এবং প্রয়োজনে বন্দর হাসপাতালকে নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য আলাদা আলাদা রুম রাখা হয়েছে। চসিকের উদ্যোগে গঠিত ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটির সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহবায়ক এবং স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই কমিটি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সর্দি, কাশি ও গায়ের জ্বর হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে এসব রোগীদের মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে (কখন আসছেন, কোথায় ছিলেন) তাদের ইতিহাস লিখে নন-ক্রিটিক্যাল হলে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো এবং তাদের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ রাখা হবে।
সিটি মেয়র বলেন, ‘নগরীর চারটি হাসপাতালে করোনাভাইরাস রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হবে। নগরবাসিকে করোনাভাইরাস নিয়ে আতংকিত না হয়ে সচেতন হতে হবে। বিদেশ ফেরতরা যেন ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকে। চীনের উহানে যখন করোনাভাইরাস দেখা যায়, তখন চসিকের উদ্যোগে নগরবাসীকে সচেতন করে তুলতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও লিফলেট বিতরণ শুরু করা হয়।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/ রেজা মুজাম্মেল