চট্টগ্রামে করোনা মহামারি প্রতিরোধে শুধুমাত্র এমবিবিএস প্রফেশনাল পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যান্য সকল শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চমেক কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ শিক্ষার্থীদেরকে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-শ্লোগান, রেগ-ডে ও বর্ষ সমাপনী উৎসব পালন থেকে বিরত থাকতে হবে।
(১৮ মার্চ) চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন পেশাগত পরীক্ষা নেওয়াসহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পেশাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা গেছে, পরীক্ষার্থী ছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসগুলোতে অবস্থান করছে। ফলে করোনার ঝুঁকি বৃদ্ধিসহ নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অনতিবিলম্বে ছাত্রাবাস ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। পেশাগত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরই ছাত্রাবাস ত্যাগ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশের অনুলিপি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (প্রশাসন), চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়ক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, চমেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ, চকবাজার ও পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ২ মার্চ চট্টেশ্বরী সড়কের গোয়াছিবাগান এলাকার চমেক প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সিট দখল ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে অন্তত ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এই ছাত্রাবাসে বর্তমানে এমবিবিএস ৩য় প্রফেশনাল ও চূড়ান্ত প্রফেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন বর্ষের বেশকিছু ছাত্র অবস্থান করছেন। যাদের পরীক্ষা নেই তাদের সেখানে থাকার অনুমতি না থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তারা ছাত্রাবাসে অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির