ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জরুরি চিকিৎসা সেবায় গঠন করা হয়েছে বিশেষ ছয়টি টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ওয়ার্ড, চিকিৎসা উপকরণ ও অপারেশন থিয়েটার। এ ব্যাপারে দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মোখা মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সামগ্রিক চিকিৎসা সেবা পর্যবেক্ষণ করতে পরিচালকের নেতৃত্বে ১২টি বিভাগের প্রধানকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে মনিটরিং টিম। সুষ্ঠু চিকিৎসা, তথ্য সরবরাহ, রেজিস্ট্রেশন, লজিস্টিক সরবরাহে হাসপাতালের উপ পরিচালককে প্রধান সমন্বয়ক করে সাত সদস্যের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আগত রোগীর জরুরি চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা সুনিশ্চিত করা, ভর্তি পরবর্তী চিকিৎসা সমুহ ওয়ার্ড-বিভাগ-আইসিইউ বা অস্ত্রোপচারের জন্য সমন্বয়, লজিস্টিক সাপোর্ট, রোগীর রেজিস্ট্রেশন, রেকর্ড সংরক্ষণ, মৃতদেহ সংরক্ষণ পুলিশের কাছে হস্তান্তরসহ সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনায় গঠন করা হয়েছে ‘মাস ক্যাজুয়ালটি ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট টিম’। ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে র্যাপিড রেসপন্স টিম। পরিচ্ছন্নতায় গঠন করা হয়েছে শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতা টিম এবং রোগীর লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য গঠন করা হয়েছে সাত সদস্যের লজিস্টিক সাপোর্ট টিম।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চমেক হাসপাতালের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে ১২টি বিভাগীয় প্রধানকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে মনিটিরিং রুম, সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবে কন্ট্রোল রুম, থাকবে মাস ক্যাজুয়ালটি ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট টিম’, র্যাপিড রেসপন্স টিম ও লজিস্টিক সাপোর্ট টিম। তাছাড়া, অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হলে গাইনি ওয়ার্ডকে খালি করে সেখানেও রোগী ভর্তি করা হবে। রোগী বেশি হলে হাসপাতালের সকল ওটির রুমগুলো ব্যবহার করা হবে। দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজনে জীবন রক্ষার্থে সকল বিভাগের চিকিৎসক/সিনিয়র স্টাফ নার্স রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশ নিবেন। একই সঙ্গে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগকে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত মজুদ রাখতে বলা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন