জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি, চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমদ ভূঞা বলেছেন, আমরা প্রত্যেকে শিশুকাল অতিক্রম করেছি। শিশুরা অপরাধ করে না, অপরাধে জড়িয়ে যায় কিংবা জড়ানো হয়। তাই তাদের সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্টেকহোল্ডার, প্যানেল আইনজীবী, সমাজসেবা প্রবেশন অফিসার শিশুদের আইনি অধিকার নিয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। শিশুদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হতে হবে। লিগ্যাল এইড এর বিজ্ঞ প্যানেল আইনজীবীগণ শিশুদের মামলাগুলোয় ভালোবাসার সঙ্গে সেবা দিতে হবে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রামের উদ্যোগে জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবীদের অংশগ্রহণে ‘শিশু আইন ২০১৩’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. আজিজ আহমদ ভূঞা।
ভারপ্রাপ্ত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) শাহনেওয়াজ মনিরের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রুবায়েত ফেরদৌস, শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর গৃহীত কার্যক্রম ও ‘স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি অব জুডিসিয়াল সিস্টেম ফর চাইল্ড প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ’ (এসসিজেএসসিপিবি) প্রকল্পের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার জেসমিন বি হোসাইন।
দুইদিন ব্যাপী আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে শিশুর বিচার ব্যবস্থা ও ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য বিষয়ক সেশন পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমদ ভূঞা, শিশু আইন ২০১৩ এর সার সংক্ষেপ বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০৪ এর বিচার (সিনিয়র জেলা জজ) মো. জামিউল হায়দার।
আইনের সঙ্গ সংঘাতে জড়িত শিশু আদালত কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০১ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) মুরাদ-এ-মাওলা সোহেল, বিকল্প পন্থা, পারিবারিক সম্মেলন, বিরোধ মিমাংসা, প্রবেশন ইত্যাদির পরিচিতি বিষয়ক সেশন পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনা-০৬ চট্টগ্রামের বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) মোহা. সিরাজুদৌল্লা কুতুবী, শিশুর আইনগত প্রতিনিধিত্ব ও আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু, সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও বিকল্প পরিচর্যা বিষয়ক সেশন পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ এবং আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু এবং থানা কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী।
অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রামের ৩০ জন প্যানেল আইনজীবী ও ইউনিসেফ কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত