চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার মুরগী ফার্ম এলাকা আবিদা সুলতানা আয়নী নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পরে হত্যার মামলায় আসামি মো. রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ।
আসামি মো. রুবেল নগরীর পাহাড়তলী থানার কাজির দিঘী এলাকার ডা. নজির বাড়ির মৃত আব্দুল নূরের ছেলে। তিনি পেশায় তরকারি বিক্রেতা ও দুই সন্তানের জনক। শিশু আবিদা সুলতানা আয়নী একই এলাকার নূর ভবন হুদা মিয়ার বাসার আবুল কাশেমের মেয়ে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ তৎকালীন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শরমিন জাহানের আদালতে আসামি মো. রুবেল বিড়াল ছানা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আবিদা সুলতানা আয়নীকে অপহরণ করার অভিযোগে শিশুটির মা বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি আদালত পাহাড়তলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২৮ মার্চ পিবিআই সন্দেহবশত তরকারি বিক্রেতা মো. রুবেলকে আটক করে। এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আয়নী হত্যার বিষয়ে তথ্য মেলে। প্রথমে পিবিআইয়ের কাছে ঘটনার বিবরন দেন রুবেল।
পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে ২৯ মার্চ ভোরে নগরীর পাহাড়তলী থানার মুরগী ফার্ম আলম তারারপুকুর পাড় এলাকায় শিশু আবিদা সুলতানা আয়নীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো। এসময় আয়নীর কালো একটি গেঞ্জি, এক জোড়া স্যান্ডেল, একটি কালো পায়জামা ও একটি গাড় নেভী ব্লু রঙয়ের হিজাব উদ্ধার করা হয়েছিল। আয়নীকে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার আশঙ্কায় আয়নীকে গলাটিপে হত্যা করেন রুবেল। মামলার তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই মো. রুবেলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ