ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলায় জার্মান নাগরিক পিওটরসহ ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়ার অনুমাতি দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান এ আদেশ দেন।
রিমান্ডকৃতরা হলেন: বিদেশি নাগরিক পিওটর সিজোফেন মাজুরেক, সিটি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রিয়াজ আহমেদ। এদের প্রতেককে ফের চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমাতি দেন আদালত। এ ছাড়া বেসরকারি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মী সাইফুজ্জামান ও বেসরকারি একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হুমায়ুন কবীরকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমাদি দেন আদালত। এরআগে আসমিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা এটিএম বুথে প্রবেশ করে আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তি স্কিমিং মেশিনের সাহায্যে বিভিন্ন লোকের ডেবিট কার্ডের ডাটা কপি করে তথ্য চুরি করে। পরবর্তীতে ক্লোন ডেবিট কার্ড তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্নজনের ডেবিট কার্ডের বিশাল অংকের টাকা চুরি করে তুলে নিয়ে যায়। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই অপরাধের সঙ্গে আর্ন্তজাতিক চক্র জড়িত এবং এই আসামিরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। বিভিন্ন দেশে এই অপরাধী চক্র তৎপর রয়েছে। তাই এই আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার মূল রহস্য ও এই আসামিদের সহযোগীদের সনাক্তকরন, চুরি কৃত টাকা উদ্ধার এবং অপরাধে ব্যবহৃত প্রযুক্তি যন্ত্র উদ্ধারসহ আসামিদের ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে যানা যাবে। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিনের আবেদন নাকচ করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিন।
উল্লেখ্য, এ মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি ইস্টার্ন, সিটি ও ইউসিবিএল ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে লাখ লাখ টাকা তুলে নেয় চক্রটি। টাকা হাতিয়ে নিতে তারা স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে গ্রাহকদের গোপন তথ্য চুরি করে। এরপর ঘটনার শিকার গ্রাহকেরা ছাড়াও সংশিষ্ট ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল), সিটি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। এই সেক্টরের কড়া নিরাপত্তা সুরক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকও দ্রুত এগিয়ে আসে। মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা