রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক কামরুল হাসানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী ওই বিভাগের শিক্ষক কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ‘যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির’ কাছে লিখিত অভিযোগ করলে শুরু হয় তদন্ত। মোবাইল ফোনে ‘আপত্তিকর প্রস্তাব দেয়া ও হয়রানির’ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিল কামরুল হাসানকে চাকুরিচ্যুত করার সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।
বিষয়টি সে সময় সিন্ডিকেট সভায় তোলা হলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহানের পুনরায় তদন্তের দাবির প্রেক্ষিতে ফের চার সদস্যের একটি ‘রিভিউ কমিটি’ করা হয়। পুনরায় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর রিভিউ কমিটি ‘বয়স ও শিক্ষকের সম্মানের’ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অধ্যাপক কামরুলকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সুপারিশ করে, যা বৃহস্পতিবার রাতে সিন্ডিকেটের সভায় ওঠে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অধ্যাপক কামরুল হাসান মজুমদারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/২২ এপ্রিল ২০১৬/ হিমেল-২১