চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হওয়া চার যুবকের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন। একই সঙ্গে তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশের দাখিল করা আবেদনের শুনানি শেষে রিমাণ্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান এ নির্দেশ দেন।
এ সময় বাদি পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আইনজীবী সমিতির সাবেক কফিল উদ্দিন চৌধুরী, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, অনুপম চক্রবর্তী, ইব্রাহিম কুতুবী, আবিদ হোসেন, গোলাম মাওলা মুরাদ, যিশু রায় চৌধুরী।
প্রতিবাদী পেশাজীবী সমাবেশ
এদিকে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের উপর হামলাকারি দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতনদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন চট্টগ্রামের পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবের সামনে ‘পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, চট্টগ্রামের উদ্যোগে ‘প্রতিবাদী পেশাজীবী সমাবেশ’ থেকে এ দাবি জানান চট্টগ্রামের বিভিন্ন পেশার নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ‘দেশের মানুষ প্রেস ক্লাবকেই তাদের মনের ভাষা প্রকাশের, দাবি প্রকাশের নিরাপদ ঠিকানা মনে করে। এই নিরাপদ ঠিকানার নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে দেশের গণতন্ত্রও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।’ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও পেশাজীবী নেতা প্রফেসর মুহাম্মদ ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ সালাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম কফিল উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাবেক সভাপতি ও রূপালী ব্যাংকের পরিচালক আবু সুফিয়ান, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সহ সভাপতি শহীদ উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শফর আলী, সিইউজের সাবেক সভাপতি অঞ্জন কুমার সেন, এম নাসিরুল হক, মোশতাক আহমদ, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য আসিফ সিরাজ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি)’র কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন থেকে কিছু উশৃঙ্খল যুবক প্রেসক্লাবে হামলা, ভাংচুর এবং সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে। এসময় তারা একুশে টেলিভিশনের গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চার যুবককে আটক করে। পরদিন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ এবং আক্রান্ত সাংবাদিকদের পক্ষে বাংলানিউজের বিশেষ প্রতিনিধি রমেন দাশগুপ্ত বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ