চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনালকে সংযোগকারী উড়ালসড়কটি অতিরিক্ত ভারবাহী যানবাহনের চলাচলের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই উড়ালসড়কটি দিয়ে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানের মতো ভারী যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু নিয়মিত সংস্কার না করায় সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
উড়ালসড়কের বেশ কয়েকটি জয়েন্টে প্রলেপ উঠে গিয়ে নির্মাণ সামগ্রী দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। সড়কে বড় বড় গর্তও তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ (বন্দর) জানায়, ভারী ও অতিরিক্ত মালবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।
১.৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১০.৬ মিটার প্রস্থ এই উড়ালসড়কটি নির্মাণ করেছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এশিয়ান ডেভেলাপম্যান্ট ব্যাংকের অর্থায়নে ৮২১.৫ মিলিয়ন টাকায় এটি নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালের ১৫ মে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়, শেষ হয় ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
কন্টেইনার টার্মিনাল থেকে টোল রোড পর্যন্ত যাতে সরাসরি পণ্য যাওয়া আসা করতে পারে সেই সুবিধার্থে এটি নির্মাণ করা হয়। এটি এটি এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে, এর ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের সময় পিলারগুলো নড়ে উঠে।
ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (বন্দর) সৈয়দ আবু সায়েম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি জানান, সড়কের দুরাবস্থার কারণে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর সেটা দেখাশুনা ও সংস্কারের দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে সচিব ওমর ফারুক এ দায়িত্ব অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এখনো আমরা উড়ালসড়ক বুঝে পাইনি। তাই এটা সংস্কারের দায়িত্ব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়া বলেন, যদিও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ উড়ালসড়কটি নির্মাণ করেছে কিন্তু তারা বিভাগটি সংস্কারের দায়িত্ব বহন করে না। আমি বিষয়টি দেখছি।
বিডি প্রতিদিন/২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭/ফারজানা