চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ১২টি কন্টেইনার ঘিরে সন্দেহ ও রহস্যের জট দানা বেঁধেছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গত সপ্তাহ ধরে দু'টি চালানে আসা ১২ টি কন্টেইনারকে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে রেখেছে। এসব কন্টেইনারে আমদানি নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর পণ্য রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
প্রথম চালানটির তিনটি কন্টেইনার বন্দরে আসে ৩ মার্চ। তবে বহির্নোঙরে জাহাজ আসে ২৮ ফেব্রুয়ারি। কন্টেইনার তিনটির নম্বর হচ্ছে-সিএমএইউ ৪৮৫৯৮৪৮, সিএআইইউ ৯৪৪৩৮৫০, সিসিডিআই ৭২৫৩৫০০। এই চালানে আরো তিনটি কন্টেইনার রয়েছে বলে জানা গেছে। এগুলোর ভেতরও নিষিদ্ধ পণ্য রয়েছে বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। অপর ছয় কন্টেইনারের চালানটি বহির্নোঙরে আসে ১ মার্চ। সেগুলো এখনো বন্দরে আনলোড করা হয়নি। এগুলো আনলোড করার আগেই সতর্কতামূলক আটক দেখানো হয়েছে। জাহাজ দুটো সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাঙ হয়ে এসেছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহ ভরা কন্টেইনারগুলোর মোবাইল স্ক্যানিং মেশিনের সহায়তায় শুক্রবার ইমেজ নিয়ে বিশ্লেষণ করে আরো নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রথম চালানটি এমভি ভাসি সান নামীয় জাহাজে এসেছে। জাহাজটি সিঙাপুর থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ছেড়ে আসে। অন্যটি এমভি সিনার সুভাং সিঙাপুর থেকে ছেড়ে আসে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এই চালানের বিল অব লেডিং নং এসজিএসআইএন০৭০৩০৭। এই জাহাজের কন্টেইনারগুলো হলো-জিএটিইউ ৮৮২২৫৪৩, ইউএসিইউ ৫১৩৬৪১৯, ইউএসিইউ ৫৪৪৫৮৩০, ইএসিইউ ৫৯৫১৩২৯, ইএএসইউ১০৩৩৫৭০ এবং আরএফসিইউ৫০৬১৯৪০। আইজিএম অনুযায়ী এই চালানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ। এগুলো আগামি সোমবার সকলের উপস্হিতিতে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ।
এদিকে শুল্ক গোয়েন্দার ঢাকা সদর দপ্তর থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল চট্টগ্রাম রওয়ানা দিয়েছে শনিবার রাতেই। শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক এই টিমে রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ