বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের দিন পুলিশি বেষ্টনির মধ্যে রাজশাহীতে ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’ পালন করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়ার এই রায়কে ঘিরে রাজশাহীতে একদিন আগে থেকেই দেখা দেয় উত্তেজনা। তবে রায় ঘোষণারও পর রাজশাহীতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যদিও এদিন রাজশাহীতে বিরাজ করে থমথমে অবস্থা। এ জন্য নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়ন করা হয় বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ। টহল দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এদিন শহরের রাস্তাগুলো ছিলো প্রায় ফাঁকা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা ভুবনমোহন পার্কে অবস্থানের ঘোষণা দিলেও নেতাকর্মীদের আগেই পার্ক দখলে নেয় পুলিশ। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পার্কের ভেতর ঢুকতে পারেননি। এ কারণে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনেই অবস্থান নেন। সেখানে তাদের ঘিরে রাখে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
মিজানুর রহমান মিনু দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পর তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহর সঙ্গে কথা বলেন। মিনু ওসিকে বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ও বিএনপি নেত্রীর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে মেসেজ আছে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার। আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো বিশৃঙ্খলা করবে না।’ তখন ওসি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলে আমাদের বাধা নেই।’
এভাবেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতারা। রায় ঘোষণার পর তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সভা শেষে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যান।
রায়ের দিনে রাস্তায় কবীর হোসেন : খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে ঘিরে হঠাৎ রাজপথে প্রবীণ নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন। দীর্ঘদিন তিনি রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু গত এক বছর ধরে তিনি সক্রিয় হয়েছে বিএনপির রাজনীতিতে।
বিএনপি নেতারা জানান, সকাল ১০টার দিকে কবীর হোসেন তার বাড়ি থেকে বের হয়ে পিডিবি মোড়ে আসেন। এরপর মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশি বাধায় মিছিলটি সেখানেই আটকে যায়। পরে রিকশায় উঠে বসেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন