ঠাকুরগাঁওয়ে অজ্ঞাত ভাইরাসে আক্রান্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ জন রোগী এখন আশঙ্কামুক্ত। ঢাকা থেকে আসা মেডিকেল টিম তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে।
মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন ৪ জন রোগীর রক্তসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যাবে তারা কি ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ধনতলা ভান্ডারদহ গ্রামে গত ১৬ দিনের মধ্যে বাবা-মা ও দুই সস্তানসহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এনকে ফ্লাইটিস অথবা অন্য কোন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধায় অজ্ঞাত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার রবিউল ইসলাম (৬০), কহিনুর বেগম (১৯), আবির হোসেন (২০) ও মাসুদা বেগম (৩০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হলেও এখন তারা আশঙ্কামুক্ত।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় রায় জানান, ঢাকা থেকে ৫ সদস্যের একটি টিম গত সোমবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে এসেছে। এর মধ্যে ৩ জন ডাক্তার দুজন টেকনিশিয়ান।
রংপুর সিভিল সাজর্ন ডা. জাকিরুল ইসলাম লেলিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি এনকে ফ্লাইটিস জাতীয় ভাইরাস হতে পারে। এ রোগে মস্তিস্ক প্রদাহ সৃষ্টি হয়। রক্ত জমাট বাধে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে রোগী মারা যায়। তিনি আরো জানান, ঢাকা থেকে আইটিসিআর বিভাগের বিশেষজ্ঞ লোকজন এসে বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আবু তাহের। ঠিক একদিন পরেই তার মেয়ে জামাই হাবিবুর রহমান বাবলু এবং হোসনে আরা বেগম নামে আরেক নারী মারা যান। পরপর ৩ জনের মৃত্যুর পর ওই পরিবারে শোকের মাতম চলতে থাকে। পরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আবু তাহেরের দুই ছেলে ইউসুফ আলী ও মেহেদী।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন