সাভার উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যেই যাবতীয় দাফতরিক কার্যক্রম চলছে। ১৯৮৫ সালে ৭ শতাংশ জমির উপর প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডি দ্বিতীয় তলা পাঁচটি কক্ষ বিশিষ্ট আমিনবাজার ইউপি ভবনটি নির্মাণ করে। ঐ সময় নিম্নমানের কাজ এবং সঠিক তদারকির অভাবে ঠিকাদার ঠিকমত কাজ করেনি বলে অভিযোগ।
ফলে অল্প দিনেই ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনটির মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদের ২৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, ভবনটি নির্মাণের চার বছরের মাথায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। ভবনটির দেয়াল জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় সংস্কারের অভাবে ভবনের ছাদসহ দেয়ালের পলেস্তার খসে পড়ছে। বর্তমানে ছাদ ও বিমের পলেস্তার খসে রড বেরিয়ে গেছে।
এছাড়া বৃষ্টির সময় ছাদ থেকে পানি পড়ে। ফলে অফিসের ভিতরে বৃষ্টির সময় পানি ঢুকে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা থাকে। ঝড়-বৃষ্টির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা কাজ করেন।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শেখ রাসেল হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন , জমির অভাবে নতুন ইউপি ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আমিনবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের এখানে ভূমি সহকারী অফিস ও পাশে আরো একটি ভবন দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের কার্যক্রর্ম করতে হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টির সময় ভবনের ওয়ালের পলেস্তার খসে পড়ে অফিসের ভিতরে পানি ঢুকে যায়।
সাভার উপজেলার প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামানিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্ষাকাল জুড়ে আমিন বাজার ইউনিয়নের কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়। সবচেয়ে বড় কথা, ভবনটি যে কোনো সময় ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে এবং এর ফলে প্রাণ হারাতে পারে অনেক লোক।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল