শাড়ি, লুঙ্গী, গামছা, ব্লাউজ এবং পাঞ্জাবীকে বাঙালির জাতীয় পোশাক হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারি।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। বিল্লাল হোসেন মৃধা নামে ওই ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে চতুুর্থ শ্রেণির কর্মচারির দায়িত্বে আছেন। বেশকিছু দিন যাবত তিনি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় এই দাবি সংবলিত ব্যানার হাতে প্রচারণা চালিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতি হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, ব্লাউজ ও পাঞ্জাবি- এই পাঁচটি পোশাকের হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। এগুলোকে আমাদের অবজ্ঞা করার কোন অবকাশ নেই। উপমহাদেশে তাঁত শিল্প ও তাঁত বস্ত্রের সুনাম রয়েছে ঐতিহ্যগত লুঙ্গি ও শাড়ীর। তাঁতিদের ব্রিটিশ শাসন আমলে তাঁতবস্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য মুসলিম বুননে কারিগরদের হাত কর্তন করে তাঁতবস্ত্রের ঐতিহ্য থামিয়ে দেয়। জাতিগতভাবে এই পাঁচটি পোশাক অধিক প্রিয় এবং আমরা এসব আরামদায়ক হিসাবে পরিধান করি।
পোশাক পরিধানে একটি জাতির সহজে পরিচয় প্রকাশ পায়। এ সময় তিনি বিষয়টিকে পর্যায়ক্রমে জাতিসংঘে উপস্থাপনের দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোমলমতি ছোট্ট শিশুদের বর্ণমালা শিক্ষাদানের সময় জাতীয় ফুল, ফল, মাছ, পশু-পাখি ও আরও অনেক কিছু শিখিয়ে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেখানে জাতীয় পোশাকের কথা উল্লেখ থাকে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও ঐতিহ্যগত বস্ত্রের কথা কারও মনে জাগ্রত হয়নি।’
বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নর-নারী মুক্তিযোদ্ধারা লুঙ্গী, গামছা শাড়ি ব্লাউজ পরিধান করেই গেরিলাযুদ্ধ ও রণসংগীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।’ তিনি পাঁচটি পোশাককে জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন