১৭ জুলাই, ২০১৯ ১৫:৩৩

বরিশাল বোর্ডে সব দিকে এগিয়ে মেয়েরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বোর্ডে সব দিকে এগিয়ে মেয়েরা

ফল ঘোষণার পর বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের উল্লাস। শিক্ষকদের সঙ্গে এক ফ্রেমে শিক্ষার্থীরা।

২০১৯ সালে বরিশাল বোর্ডের অওতাধীন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭০.৬৫ ভাগ। বরিশাল বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ২০১ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ৭৩৫ জন মেয়ে এবং ছেলে ৪৬৬ জন। গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার ০০.১০ ভাগ এবং জিপিএ-৫ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৭০.৫৫ ভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬৭০ জন। এবার বরিশাল বোর্ডের আওতাধীন ৫টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করলেও শতভাগ অকৃতকার্যের তালিকায় কোন কলেজ নেই। তবে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান এবং হিসাব বিজ্ঞানে তুলনামূলক ফল খারাপ হওয়ায় সার্বিক ফলাফলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বরাবরের মতো এবারও বরিশাল বোর্ডে মেয়েরা পাসের হার এবং জিপিএ-৫ সহ সব দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

বুধবার দুপুর একটায় নগরীর কাশীপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিসংখ্যানগত ফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। 

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ৩৩০টি কলেজে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৬৪ হাজার ৯৬৮ জন। এদের মধ্যে ১১৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬৩ হাজার ৫৩৮ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩২ হাজার ২৩২ জন ছেলে এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী ছিলো ৩১ হাজার ৩০৬ জন। মেয়েদের পাসের হার ৭৫.৪৮ ভাগ এবং ছেলেদের পাসের হার ৬৫.৯৫ ভাগ। 

এবার বরিশাল বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮১.৯২ ভাগ, মানবিক বিভাগে ৬৫.৫৬ ভাগ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৭১.৩৮ ভাগ। 

বোর্ডের আওতাধীন ৬ জেলার মধ্যে পাসের হারে (৭৪.১৭ ভাগ) বরিশাল জেলা সবার উপরে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভোলা জেলার পাসের হার ৭৩.২৯ ভাগ, তৃতীয়স্থান অধিকারী পিরোজপুর জেলার পাসের হার ৬৯.৫৩ ভাগ, চতুর্থ স্থান অধিকারী বরগুনা জেলায় ৬৯.৫৩ ভাগ, ৫ম স্থানে থাকা ঝালকাঠী জেলায় পাসের হার ৬৬.৮২ ভাগ এবং ৬৫.০৯ ভাগ পাসের হার নিয়ে পটুয়াখালী জেলা রয়েছে সবার নীচে। 

এবার ইংরেজি, ব্যবসায় শিক্ষা এবং হিসাব বিজ্ঞানে তুলনামূলক ফল খারাপ হাওয়ায় সার্বিক ফলাফলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বিষয় ভিত্তিক দক্ষ শিক্ষক না থাকার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি না থাকায় এই ৩ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কিছুটা খারাপ করেছে বলে জানান বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম। 

এদিকে, বোর্ডে পরিসংখ্যানগত ফল ঘোষণার পরপরই স্ব-স্ব কলেজে এইচএসসি’র ফল প্রকাশ করা হয়। প্রত্যাশিত ফল পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। আবার অনেকে প্রত্যাশিত ফল না পেলেও প্রাপ্ত ফলাফলে খুশি বলে জানিয়েছেন। এই সাফল্যের জন্য শিক্ষক এবং অভিভাবকদের কৃতিত্ব দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর