সারাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো ঈদের এক সপ্তাহ আগেই মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী একথা জানান। এসময় তিনি ওয়েজবোর্ড, গুজব, গণপিটুনি, ডেঙ্গু, ৭ কলেজ ও বোমা পাওয়ার বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওয়েজ বোর্ড কমিটির বৈঠক হয়েছে। আমাদের সুপারিশসহ ক্যাবিনেটে পাঠিয়ে দেবো। ক্যাবিনেট এটা কার্যকর করবে।
ফিটনেস নবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল: ফিটনেস নবায়নের জন্য দুই মাস সময় দিয়েছেন আদালত। আমরাও বিআরটিএকে নির্দেশনা দিয়েছি। সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করে এগুলো শেষ করবে।
তিনি বলেন, বন্যার অবস্থা ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। আরও প্লাবনের আশংকা আছে। এতে আমাদের জেলা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো ঈদের এক সপ্তাহ আগেই মেরামতের নির্দেশ দিয়েছি৷ মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষক দল কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, গুজব থেকে সারাদেশে অনেকগুলো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে। গুজব রটিয়ে গণপিটুনির ঘটনায় সরকার কঠোর অবস্থানেে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করছে। দলীয়ভাবেও এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। চিফ হুইপের মাধ্যমে এমপিদের সচেতনতামূলক সভা সমাবেশের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গুজব রটানোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিচ্ছেন না কেনো? এমন প্রশ্নের জবাবে সড়কমন্ত্রী বলেন, গুজব কারা রটাচ্ছে, এর পেছনে কোনো চক্র আছে কী না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাউকে ধরেই তো কঠোর শাস্তি দেয়া যায় না। আইনি প্রসিডিওর তো আছে।
ডেঙ্গু নিয়ে কাদের বলেন, ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ঢাকা ও বাইরে প্রতিদিন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। নতুন রোগী মানেই ডেঙ্গু। মেয়রদ্বয়সহ সবাইকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। দক্ষিণের মেয়র জানিয়েছে, তাদের ওষুধ অকার্যকর, কার্যকর ওষুধের ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছি।
৭ কলেজের ইস্যুতে তিনি বলেন, বিষয়টি যৌক্তিক। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। উনি দেশে ফিরে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। পথ অবরোধ করে অন্যের বা নিজেদের ক্ষতির সম্মুখীন করবেন না। যৌক্তিক দাবি যেটা আলাপ আলোচনায় সমাধান সম্ভব, সেটা নিয়ে আন্দোলন করে জনদুর্ভোগের কারণ হবেন না।
কাদের বলেন, গতকাল ঢাকায় বোমা পাওয়ার বিষয়টি এবং সাম্প্রতিক সবগুলো ইস্যু সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কীনা খতিয়ে দেখছি আমরা। একটার সঙ্গে আরেকটার যোগসূত্র আছে কীনা গভীরভাবে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা