শিরোনাম
- চট্টগ্রামে এক উপজেলায় মিললো দুই অজ্ঞাত লাশ
- নিউইয়র্কের নতুন মেয়র মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের চেষ্টা
- টাঙ্গুয়ার হাওরে উচ্চস্বরে গান-বাজনা ও পার্টি আয়োজন করা যাবে না
- সাদেক খানের ১২ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- ৮ ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি নিচ্ছে শাবিপ্রবি
- পরিবারসহ উমরাহ পালন করলেন প্রাণ গ্রুপের শতাধিক পরিবেশক
- নারায়ণগঞ্জে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২
- হাসিনাসহ ১২ জনের দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
- নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ : ইসি আনোয়ারুল
- একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন
- বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি
- পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' মামুন: পুলিশ
- পুরান ঢাকায় সিনেমা স্টাইলে গুলি, যা দেখা গেল সিসি ক্যামেরায়
- ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি
- দেশের সব জায়গায় চাঁদাবাজি হচ্ছে: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন
- দ্রুত সেবার ক্ষেত্রে সবার আগে জনগণ : ভূমি উপদেষ্টা
- পুরান ঢাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে
- খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদেশ সফরে যাওয়ায় আমাকে প্লট দেওয়া হয়নি : রবি চৌধুরী
- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা
রেনুকে পিটিয়ে হত্যা : ৫ দিনের রিমান্ডে হৃদয়
আদালত প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন
রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা করার মামলায় প্রধান আসামি ইব্রাহীম হোসেন হৃদয়কে (১৯) পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ জসিম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর আব্দুল রাজ্জাক আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। পরে আদালত পাঁচ দিনে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানিতে বলা হয়, গত ২০ জুলাই ঘটনার দিন রেনু স্কুলে তার সন্তান ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে এলে একজন অভিভাবক তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। এসময় ওই অভিভাবকের সন্দেহ হলে রেনুকে ছেলেধরা বলে সম্বোধন করেন। হৃদয় এ কথা শুনে সবজি বিক্রি রেখে সেখানে ছুটে যায়। এ সময় সেখানে হৃদয় এবং ওই অভিভাবকসহ ১৫-২০ জন লোকের একটা জটলা তৈরি হয়। এর মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভিকটিম রেনুকে তাদের স্কুলের একটি রুমে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে ছোট জটলাটি বড় জটলায় রূপ নেয় এবং ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর লোকজন উত্তেজিত হযে স্কুলের ভেতরেও ঢোকার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ১০-১৫ জনের একটি দল স্কুলের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা তালা ভেঙে ওই নারীকে বাহিরে বের করে নিয়ে আসে এবং তাকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রেনু।
আসামি হৃদয়সহ আরও ১৫-২০ জন স্কুলের রুমের দরজা ভেঙে ওই নারীকে (রেনু) বাহিরে বের করে আনেন। এরপর তাকে মারধর করে তারা। গণপিটুনির একপর্যায়ে রেনুর মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ইব্রাহীম হোসেন হৃদয় ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত তাদের নাম ঠিকানা ও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং অন্য আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য এ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন শুনানিতে বলা হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনার পরে হৃদয় যখন জানতে পারে পুলিশ তাকে খুঁজছে, তখন সে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় পালিয়ে যায়। গ্রেফতার এড়াতে মাথার চুল ন্যাড়া করে ফেলে। সে ঢাকায় তার নানির সঙ্গে থাকতো। নানিকে সে বলে, তার জামাকাপড় গুলো পুড়িয়ে ফেলতে।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, শনিবার (২০ জুলাই) সকালে উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শনিবার বাড্ডা থানায় নিহতের ভাগনে নাসির উদ্দিন অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, অতর্কিতভাবে ওই নারীকে স্কুলের অভিভাবক, উৎসুক জনতাসহ অনেকে গণপিটুনি দেয়। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়িত।
জানা গেছে, নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর ১১ বছরের এক ছেলে ও চার বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। আড়াই বছর আগে স্বামী তসলিম উদ্দিনের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর