অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন সালুকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার বাগবাড়ির শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
এদিকে আটক সালাউদ্দিন সালুকে ছিনিয়ে নিতে তার সহযোগীরা ডিবি পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে দাবি করেছে পুলিশ। এসময় ডিবি পুলিশের কয়েকজন আহত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়লে নাদিম (২৮) নামে এক পোশাক কারখানার শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়।
সালাউদ্দিন সালু উপজেলার মদনগঞ্জের শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত পিচ্চি সুমনের ভাতিজা। এছাড়া তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আলোচিত সন্ত্রাসী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত মাষ্টার দেলুর সেকেন্ড ইন কমান্ড।
সূত্র জানায়, সালাউদ্দিন সালু মদনগঞ্জের বাসিন্দা হলেও সে বন্দরের বাগবাড়ি এলাকার ওসমান মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলো। এখান থেকেই সালু মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এনামুল হক।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সালু মাস্টার দেলুর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা শুরু করে। তার রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র চালনায় সিদ্ধহস্ত। তার গুরু মাস্টার দেলু ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলে দেলুর নিয়ন্ত্রণাধীন সকল অস্ত্র চলে আসে তার হাতে। পাশাপাশি মাস্টার দেলুর সমস্ত খাতের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠে সালু।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, সালাউদ্দিন সালু এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার মাদকসহ র্যাবের হাতে আটক হয়ে কারাবন্দী ছিলো। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল