বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
- দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কৃষকদলের সদস্য সচিব বহিষ্কার
- জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের নামে নামকৃত চত্বর ও সড়ক উদ্বোধন
- ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
- ‘জুলাই শহিদদের প্রেরণা অনুসরণ করলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব’
- জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮৬ শতাংশ
- পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত না মেনে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এফডিসিতে বিক্ষোভ
- মাগুরায় সাপের কামড়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু
- ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা
- সাভারে পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
- ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
- ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
- এশিয়ান কাপ নিশ্চিত করে ৫০ লাখ টাকা পাচ্ছে নারী দল
- রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া ব্যাংকের কোনও নীতিমালাই কাজ করবে না: গভর্নর
- ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, আকাশে ১৮ কিলোমিটার উঁচু ছাইয়ের স্তম্ভ
- বাগেরহাটে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার প্রস্তুতিসভা
- সেপ্টেম্বরে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবেন হামজা-জামালরা
- মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিব
- নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ, বাতিলের দাবিতে অবস্থান
- এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
পদ্মার পানি বাড়ছে, সরানো হচ্ছে চরের বাসিন্দাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

ভারতের বিহার ও উত্তর প্রদেশে প্রচুর বৃষ্টির কারণে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিপদসীমা থেকে মাত্র ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীতে এখন আছে প্রচণ্ড স্রোত। ইতিমধ্যে রাজশাহীর চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পদ্মার পানির উচ্চতা ছিলো ১৮ দশমিক ০৭ মিটার। এর আগে ভোর ৬টায় ছিলো ১৮ দশমিক ৪ মিটার। রাজশাহীতে পদ্মার পানির বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। আর সোমবার ভোর ৬টায় পানির উচ্চতা ছিলো ১৭ দশমিক ৯০ মিটার। ২৪ ঘন্টায় পানি বাড়ে ১৪ সেন্টিমিটার। আর ২৭ ঘণ্টায় বাড়ে ১৫ সেন্টিমিটার।
রাজশাহীতে এ বছর পানি বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা করছেন পাউবো কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সে অনুযায়ী পদ্মার পাড়ে পানি পর্যবেক্ষণ করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর টি গ্রোয়েনে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড স্রোত বয়ে যাচ্ছে বাঁধের পাশ দিয়েই। টি গ্রোয়েনের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পাউবোর রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম কাজের তদারকি করছিলেন।
প্রধান প্রকৌশলী জানালেন, ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহারে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধের গেট খেলা থাকায় গঙ্গা নদী হয়ে সেই পানি পদ্মায় আসছে। তাই পদ্মার পানি বাড়ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। সে অনুযায়ী তারা পানি পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, বন্যার আশঙ্কা আছে নিচু এলাকাগুলোতে। পাবনা এবং কুষ্টিয়ার যেসব এলাকায় বাঁধ সেখান দিয়ে পানি ঢুকে পড়তে পারে। তবে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ায় রাজশাহীতে বড় রকমের বন্যা হবে না।
এদিকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফারাক্কা বাঁধের গেট খোলা থাকে। এটি নিয়মিত ব্যবস্থাপনার অংশ। গত কয়েকদিন ধরে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর অববাহিকায় অতিবৃষ্টির কারণে নতুন করে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে উজানে ভারতের বিভিন্ন জেলা এবং ভাটিতে বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা দেখা দিলে তা মোকাবিলায় সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। জেলা, উপজেলা পর্যায়ের স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বন্যা হলে তা মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতিও।
পানি বৃদ্ধির কারণে রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, পবা ও গোদাগাড়ী উপজেলার চরাঞ্চলের বেশকিছু গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। বাঘার চরাঞ্চলের ১১টি স্কুল গত রবিবার থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। স্থানীয় এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে জানান, পানিবন্দী এসব মানুষকে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম জানান, ইতিমধ্যে গোদাগাড়ীর ৭৬টি ও চারঘাটের ২৬টি পরিবারকে পদ্মার চর থেকে এপারে আনা হয়েছে। আরও যেসব পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে তাদেরও আনা হবে। তিনি বলেন, পদ্মার পানি বাড়লে রাজশাহীর চরাঞ্চলেই বেশি বন্যাকবলিত হওয়ার ঝুঁকি আছে। তবে পানি শহরে প্রবেশ করবে না।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর