রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক ওরফে এনু ভুঁইয়া ও তার ছোট ভাই থানা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুপন ভুঁইয়ার শত শত কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকাতে তাদের বাড়ি আর প্লটের সংখ্যাও অনেক।
জানা গেছে, একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই জমাকৃত টাকার পরিমাণ ছিল ১২২ কোটি ৫৭ লাখ ৪ হাজার ৮৬৯ টাকা। দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অ্যাকাউন্ট থেকে তড়িঘড়ি সরানো হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বাকি সাড়ে ২২ কোটি টাকা এই অর্থ এখন আছে বাজেয়াপ্তের অপেক্ষায়। এ রকম আরও ৮২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলছে দুই যুবলীগ নেতার নামে। এসব ব্যাংক হিসাবে তারা টাকা লেনদেন করেছেন কয়েকশ’ কোটি টাকা।
তাদের অর্থসম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। ইতিমধ্যে দুই ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া গেছে।
এখন পর্যন্ত এনু-রুপনের মালিকানাধীন ১৯টি বহুতল বাড়ি ও একাধিক প্লটের সন্ধান মিলেছে। সিআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ক্যাসিনোর অন্ধকার জগৎ তাদের কাছে ধরা দেয় অনেকটা আলাদিনের চেরাগ হয়ে। দুই যুবলীগ নেতার দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস নেই। কয়েকটি সাইনবোর্ডসর্বস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে তারা অর্থ লুকানোর চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর তাদের বাড়ি থেকে নগদ ৫ কোটি টাকা ও ৮ কেজি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে র্যাব। বর্তমানে তারা দু’জনেই পলাতক। গ্রেফতার এড়াতে তারা ভারতে আত্মগোপন করে আছেন এমন খবর দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা