বরিশালে ৪৫ টাকা কেজি দরে দুই দিন খোলা বাজারে বিক্রির পর টানা ৯ দিন ধরে বন্ধ টিসিবি’র পিয়াজ বিক্রি কার্যক্রম। অপরদিকে বরিশালের পাইকারি বাজারে শনিবারও প্রতি কেজি পিয়াজ প্রকার ভেদে ১৮০ থেকে ১৯২ টাকা এবং খুঁচরা বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তা সাধারণের। তারা আবারও বরিশালে ন্যায্য মূল্যে টিসিবি’র মাধ্যমে পিয়াজসহ নিত্য পণ্য বিক্রির দাবি জানিয়েছেন।
গত ২০ নভেম্বর বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে টিসিবি’র মাধ্যমে ৪৫ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
ওইদিন থেকেই টিসিবি নগরীর ৫টি স্থানে ট্রাকে করে ৪৫ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি শুরু করে ডিলারদের মাধ্যমে। এ সময় বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয় ২২০ থেকে ২৫০ শ’ টাকায়। এ কারণে নগরীর ৫টি স্থানে টিসিবি’র ৪৫ টাকা কেজি দরের পিয়াজ কিনতে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় ভোক্তাদের। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ৪৫ টাকা কেজি দরের পিয়াজ কিনতে পেরে খুশি হন ক্রেতারা।
পরদিন ২১ নভেম্বরও নগরীর ৫টি স্থানে ট্রাকে করে ডিলারদের মাধ্যমে ৪৫ টাকা কেজি দরের পিয়াজ বিক্রি হয়। কিন্তু এরপরই বন্ধ হয়ে যায় বরিশালে টিসিবি’র খোলা বাজারে পিয়াজ বিক্রি কার্যক্রম। এতে আবারও বেকায়দায় পড়েন ভোক্তারা।
এদিকে, শনিবারও বরিশালের পাইকারি বাজার পিয়াজপট্টিতে প্রতি কেজি পিয়াজ (দেশি-বিদেশি) বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা থেকে ১৯২ টাকায়। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়।
বরিশাল পিয়াজ আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন জানান, সরকার যত পিয়াজ আমদানি করেছে বলে প্রচার করছে তার ছিটে ফোঁটাও বরিশালে আসেনি। বাজারে পিয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দাম এখনও চড়া। সরবরাহ না বাড়লে পেয়াজের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
টিসিবি বরিশাল কার্যালয়ের প্রধান মো. আনিছুর রহমান জানান, প্রথম দফায় খোলা বাজারে বিক্রির জন্য বরিশালে ১০ টন পিয়াজ এসেছিল। দুই দিনেই ওই পরিমাণ পিয়াজ বিক্রি হয়ে যায়। নতুন করে শনিবার দ্বিতীয় দফায় আরও ৩৮ টন পিয়াজ এসেছে। আগামীকাল রবিবার থেকে আবারও ট্রাকে করে নগরীর ৫টি স্থানে ৪৫ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি শুরু হবে। এই পিয়াজ বিক্রি শেষ হওয়ার আগেই আরও ৩০ টন পেয়াজ আসছে বলে তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন