বরিশাল সদর উপজেলার বায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব ধর্মাদী জামেউল উলুম মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থী বলৎকারে রাজী না হওয়ায় তাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক জোবায়ের আহমেদের বিরুদ্ধে। শারীরিক নির্যাতন এবং পানিতে চুবানো ছাড়াও শিশুটিকে মল চাটানোরও অভিযোগ করেছেন তার অভিভাবকরা।
এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ধর্মাদী গ্রামে জামেউল উলুম মাদ্রাসায় ১২ জন শিক্ষার্থী এবং ১ জন শিক্ষক রয়েছেন। আবাসিক ওই মাদ্রাসায় রয়েছে রাতে থাকার ব্যবস্থা। গত বুধবার রাতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে পড়লে নাজেরানা বিভাগের এক ছাত্রকে বলৎকারের চেষ্টা করে অভিযুক্ত শিক্ষক জোবায়ের আহমেদ।
শিশুটি অপকর্মে রাজী না হওয়ায় পড়া না পাড়ার অজুহাতে তার নিতম্বে কামড় দেয় শিক্ষক। এ সময় তাকে বেদম মারধর এবং পানিতে চুবানো হয়। এক পর্যায়ে শিশুটির পেটে জোরে চাপ দিয়ে তার পায়ুপথ থেকে মল বের করে তাকে চাটানো হয় বলে অভিযোগ করেন তার সহপাঠী ও স্বজনরা। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন শিশুটির বাবা এবং সহপাঠীরা। এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমান বন্দর থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার। একই সাথে অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর