বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে সালিশ বৈঠকে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে উপজেলার কাজীরহাট থানার জয়নগর এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেকান্দার আবু জাফরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-জফুরা বেগম (২০) ও তার মা মোনজেরা বেগম (৪৫)। আহত জফুরা মেহেন্দিগঞ্জের কাজীরহাট থানার জয়নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাগর দেওয়ানের মেয়ে এবং মোনজেরা তার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, জফুরা বেগমের সাথে কয়েক বছর আগে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এলাকার বাদশা মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এই বিরোধ মীমাংসার জন্য রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সেকান্দার আবু জাফরের বাড়িতে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে সালিশ শুরু হয়।
সালিশের একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। এসময় বাদশা মিয়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা অভিযুক্ত বাদশা মিয়াকে আটক করে। তবে আওয়ামী লীগ নেতা সেকান্দার আবু জাফর তাকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন জফুরা ও মোনজেরার স্বজনরা।
এ বিষয়ে জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেকান্দার আবু জাফর বলেন, বাদশা মিয়াকে আটকের পর তিনি তার পরনের লুঙ্গি টেনে খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান।
এদিকে, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের পাঠানো হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে।
কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, দুই নারীকে কুপিয়ে আহত করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই