আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় স্থাপনসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। জেলার ৫টি উপজেলায় ১১৪টি পূজা মণ্ডপে এবার পূজার আয়োজন সম্পন্ন হচ্ছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ সোমবার বিকেলে মুঠোফোনে জানান, জেলার ৫টি উপজেলায় জেলার পাঁচজন এডিসিকে প্রধান করে ৫টি কন্ট্রোল রুম ও জেলায় একটিসহ মোট ৬টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ১৫ জন সদস্য দেওয়া হয়েছে।
তাদের সাথে থানার নির্বাহী অফিসার ও ওসিরা সমন্বয় করে কাজ করবে। প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারি চাল বিতরণ করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ও পূজার আয়োজক কমিটিকে যেন চেনা যায়, সেই ক্ষেত্রে আলাদা প্রতীকী হিসেবে ক্যাপ বা আলাদা পোশাক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রায় সহস্রাধিক পুলিশ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। এছাড়া একই সাথে অ্যান্টি পকেট কাটা ও অ্যান্টি কিশোর গ্যাং রোধে বিশেষ টিম নজরদারি করবে। যেসব পূজা মণ্ডপে বেশি ভিড় জমে, সেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিসিটিভির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি পূজা মণ্ডপগুলোতে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ফেসবুকে কোনোরকম গুজব ছড়িয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা যাবে না। পূজা মণ্ডপে কোনো সমস্যা হলে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলাপ করে তা সমাধান করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই