৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:৫২

'খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপিই থাকবে না'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপিই থাকবে না'

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়া না থাকলেও আওয়ামী লীগ থাকবে বরং বিএনপিই থাকবে না। আর খালেদা জিয়া যেন না থাকে সেই চেষ্টা করছেন বিএনপি। আজ দুপুরে ইস্কাটন গার্ডেন সুইড কনভেনশন সেন্টারে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ থাকবে না-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথার জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

৩০তম আন্তর্জাতিক ও ২৩তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাথে অভিভাবকদের পরামর্শ, ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সুইড বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাহবুবুল মুনির, সহসভাপতি, নির্মল চ্যাটার্জি, কাজী শদীদুল্লাহ, সেচ্চাসেবক লীগের প্রতিবন্ধী বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, উম্মে সালমা মুনমুন প্রমুখ। 

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এসএম কামাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগকে ভয় দেখাবেন না। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগনকে মুক্তি দিতেই এই দলের জন্ম। এই দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বৈরাচার হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দলের শেক অনেক গভীরে। আপনাদের মত (বিএনপি) ক্ষমতায় থেকে দল গঠন করেনি আওয়ামী লীগ যে হারিয়ে যাবে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে আওয়ামী লীগ ততদিন থাকবে।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতারাই চায় না খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হোক। তাই তারা চিকিৎসার চেয়ে অপরাজনীতি করছেন। তারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চায় না। তারা সরকারের পতন চায়। সে কারনে অপরাজনীতি করছে। খালেদা জিয়ার প্রতি বিএনপি নেতাদের দরদ নেই জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, কারন একটি দলের চেয়ারপারসন কে রেখে কেউ নির্বাচন করতে পারে না। ২০১৮ সালে খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপি নির্বাচনে যায়। কারন তারেক রহমানের কাছে মায়ের চেয়ে টাকাই ছিল মূখ্য। সে কারনে মনোনয়ন বানিজ্য করে কোটি কোটি টাকা  আয় করেছেন। 

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে নেতাকর্মীদের সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১৯৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত অতি বাম ও অতি ডান নানা চক্রান্ত করেছে। তারা ব্যাংক ডাকাতি করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়ন শীল থেকে উন্নত দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে তখন আবারও অতি ডান ও অতি বাম মিলে ষড়যন্ত্র করছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ২ সন্তানের মা স্কুলের ডেস পরে আন্দোলনে নেমেছেন। সে একটি বাম দলের নেত্রী। 

প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ১১টি স্পেশাল স্কুল চালু করেছেন শেখ হাসিনার সরকার। ভাতা প্রদান করছেন। সরকার প্রতিবন্ধীদের পাশে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করেছেন তেমনি তার কন্যা সায়মা হোসেন পুতুলও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করেছেন। 

এসএম কামাল হোসেন বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কাজের মধ্যে দিয়ে মানবিক সংগঠনে পরিনত হয়েছে। করোনাকালে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌছানো, করোনা রোগীদের সেবা ও মৃত্যু ব্যক্তিকে দাফন কাফনে অংশ নিয়েছেন। সেচ্চাসেবক লীগ একটি মানবিক সংগঠন। 

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, আমরা সেচ্ছাসেবক লীগ সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করি। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে মানুষের পাশে থাকতে হয়। প্রতিবন্ধীরাও আমাদের সমাজের অংশ। তাদের মেধা ও কর্মগুনে আমাদের বিশ্বে সন্মানিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা হোসেন পুতুল প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশ্বে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। 

স্বেচ্ছাসেবক একেএম আফজালুর রহমান বাবু বলেন, সমাজের প্রতিটি স্থানে প্রতিবন্ধীদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে চলেছেন। আমরা সেচ্ছাসেবক লীগ মানুষের কল্যানে কাজ করি। নেত্রীর নির্দেশন মেনে যে কোন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াই।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর