ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে দমকা বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে।
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে বাতাসের চাপে বটিয়াঘাটা পাইকগাছা দাকোপে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে। সারাদিন ভারী বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। আতংকে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, মধ্য রাতে জোয়ারে পানি চাপ বাড়লে বেড়িবাঁধ টিকিয়ে রাখা মুশকিল হবে। ফলে বেড়িবাঁধ ভেঙে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আতংকে সময় পার করছেন উপকূলের মানুষ।
কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার দুপুরে জোয়ারের চাপে হরিণখোলা ও গাতিরগেড়িতে বাঁধে ভাঙন দেয়। ভাটায় পানি নামতে শুরু করলে হরিণখোলায় প্রায় দুইশ’ মিটার বাঁধ ধসে যায়। ভারী বৃষ্টির মধ্যেও সেখানে মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে কয়রা হোগলা, দোশহালিয়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালী ও মঠবাড়ির পবনা বাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, রাতে জোয়ারে পানি চাপ বাড়লে বেড়িবাঁধ টিকিয়ে রাখা মুশকিল হবে। ফলে আতংকে সময় পার করছেন উপকূলের মানুষ।
এর আগে দুপুরে খুলনার খালিশপুরে বৃষ্টির সময় ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে লাকী আক্তার নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়। তিনি খালিশপুর বাস্তহারা মুজগুন্নী পার্ক এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে। দুপুরে বৃষ্টিতে গোসল করতে ছাদে গেলে দমকা বাতাসে পা পিছলে রেলিং ভেঙে নীচে পড়ে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সাইক্লোন শেল্টারগুলো আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, উপকূলীয় এলাকার ৫৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ৫টি ও প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্যোগকালে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য পাঁচ হাজার ২৮০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সজাগ অবস্থায় আছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন