প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেছেন, বর্তমানে দেশে ডিম ও মাংসের কোনো ঘাটতি নেই। দুধ ও ডিমের উপকারিতা অনেকেই জানে না। শিগগিরই স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৫০টি স্কুলে ফিডিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। রংপুর বিভাগে ১৩টি স্কুলে এ কার্যক্রম চলবে।
তিনি আরো বলেন, প্রাণিদের জাত উন্নয়নে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। গবাদি পশুর খাদ্যের মূল্যের কারণে সকল খামারীদের তাদের প্রাণিদের ঘাস খাওয়ানোর কথা বলা হচ্ছে। ব্লাক বেঙ্গল জাত আমাদের দেশে ভালো অবস্থায় রয়েছে। সরকার প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজাচ্ছেন। প্রান্তিক পর্যায়ে সুবিধা পৌঁছে দিতে মোবাইল ভেটেনারী ক্লিনিক ভ্যান দেয়া হয়েছে।
রবিবার প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে পরিপ্রেক্ষিতের আয়োজনে আরডিআরএস হলরুমে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত : সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক দিনবাপী ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ পরিচালক ডা. আব্দুল হাই সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের চীফ টেকনিক্যাল অফিসার ড. গোলাম রব্বানী, দিনাজপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন, পরিপ্রেক্ষিত নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, পরিপ্রেক্ষিত রংপুর সমন্বয়কারী সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিক প্রমুখ। সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ও সেবার মান গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সাংবাদিকদের সনদপত্র দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল