চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গত ১৬ নভেম্বরের বৈঠকে চসিক ৪২২টি অবৈধ বিলবোর্ডের তালিকা দেয় সিএমপিকে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এ তালিকা মতেই অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ হবে যৌথ উদ্যোগে। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযান চলাকালেই অজ্ঞাত কারণে তালিকার সেই অবৈধ বিলবোর্ড নিমিষেই বৈধ হয়ে যাচ্ছে। সিটি ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বিলবোর্ড কাটতে ক্রেন সেট করতেই পরক্ষণে আবার না কাটার নির্দেশ। বিষয়টি উপস্থিত উৎসুখ মানুষদের মধ্যেও কৌতূহলের জন্ম দিচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রণীত তালিকার অবৈধ বিলবোর্ডের মালিকরা রাজস্ব বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগসাজশে নতুন করে নবায়নের টাকা জমা দিচ্ছে। কিন্তু সিটি ম্যাজিস্ট্রেট তালিকা মতে অবৈধ বিলবোর্ড কাটার নির্দেশ দিলে সঙ্গে সঙ্গে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (সিআরও) আহমেদুল হকের স্বাক্ষর সংবলিত বৈধতার কাগজ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বোর্ডের মালিক। ঠিক তখনই ম্যাজিস্ট্রেট না কাটার নির্দেশ দিচ্ছেন। গত চারদিনের অভিযানে প্রায় ১৫টি অবৈধ বিলবোর্ড বৈধ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে স্বয়ং মেয়রও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানা যায়। সিআরও আহমেদুল হক বলেন, এখন নতুন করে অবৈধ বিলবোর্ড বৈধ করার কোনো সুযোগ নেই। গত রবিবার থেকে শুরু হয় অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান। রবিবার কাটে ছয়টি, সোমবার সাতটি, বুধবার ছয়টি ও গত বৃহস্পতিবার ১১টি। মোট ৩০টি অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে চসিক।