শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

আট সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ২৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা

কর ফাঁকি দিচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থিতিভিত্তিক শ্রেণি ঋণ বিবরণী অনুযায়ী সরকারি মালিকানাধীন ছয়টি ও বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৮ হাজার ৫৪০ কোটি ৬৭ লাখ। এসব ব্যাংকে মোট ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৪ কোটি ৩ লাখ টাকা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কয়েক দিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। এ ব্যাপারে চলতি অধিবেশনেই আমি বক্তব্য দেব।’ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের একাদশ অধিবেশনে গতকাল এম এ আউয়ালের (লক্ষ্মীপুর-১) লিখিত ও সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, চুরি বন্ধে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সরকার কড়া নজর রাখছে।

লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ঋণখেলাপি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের মোট ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ২১ হাজার ৭৫৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৮৮ কোটি ১৩ লাখ। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের মোট ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ১ লাখ ৪৯৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩০ কোটি ১২ লাখ। বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের মোট ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ১২ হাজার ৭০১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার ৩০০ কোটি ৮২ লাখ। এ ছাড়া জনতা ব্যাংক লিমিটেডের মোট ঋণের পরিমাণ ৩২ হাজার ৬১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ২ হাজার ৮৩০ কোটি ৬৮ লাখ। রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের মোট ঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার ৪৭৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৫৪৭ কোটি ৭৬ লাখ। সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মোট ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ২৯ হাজার ৪০৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৭ হাজার ৯৭৯ কোটি ৭৯ লাখ। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর অন্য প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, শুধু বাংলাদেশ নয়, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মাঝে কর ফাঁকির প্রবণতা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। আমাদের দেশে ঠিক কত হারে এ ধরনের কোম্পানিগুলো কর ফাঁকি দিয়ে থাকে তা নিরূপণ করা দুরূহ। এজন্য বিদ্যমান চুক্তিসমূহ পরিমার্জনের লক্ষ্যে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পুরনো দ্বৈতকর পরিহার চুক্তিসমূহ পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান হালনাগাদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১২ সালে ট্রান্সফার প্রাইসিং আইন আয়কর আইনে সংযোজন করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর