শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রাথমিকের সাড়ে ১০ কোটি বই যথাসময়ে ছাপা নিয়ে সংশয়

আকতারুজ্জামান

প্রাথমিকের বই যথাসময়ে ছাপা সম্পন্ন হওয়া নিয়ে এ বছরও সংশয় দেখা দিয়েছে। গত বছরের ন্যায় বিশ্বব্যাংকের অর্থ প্রদানে জটিলতার সৃষ্টি না হলেও বইয়ের পাণ্ডুলিপি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে না পৌঁছানোয় বেধেছে বিপত্তি।  ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ছাপার কাজ শুরুর কথা থাকলেও এখনো শুরু হয়নি। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি বলেছে, বইয়ের পাণ্ডুলিপি সরবরাহে বিলম্ব হলে বই যথাসময়ে ছাপা সম্পন্ন করে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে সরকার। কয়েক বছর থেকে বছরের প্রথম দিন বই উত্সবের আয়োজন করে আসা হলেও তা বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, এ বছর ৯৮টি লটের মাধ্যমে প্রাথমিকের জন্য মোট ১০ কোটি ৫২ লাখ ৮৮ হাজার ৩২৭টি বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভারতের ৫টি প্রতিষ্ঠান ১৬টি ও বাংলাদেশি ২৭টি প্রতিষ্ঠান ৮২টি লটে এসব বই ছাপার দায়িত্ব পেয়েছে। জানা গেছে, এনসিটিবির সঙ্গে মুদ্রণের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর চুক্তি অনুযায়ী ৯৮ দিনের মধ্যে ছাপার কাজ শেষ করে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু বইয়ের তথ্য-উপাত্ত সংবলিত সিডি বা বইয়ের পাণ্ডুলিপি এখনো মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে সরবরাহ সম্পন্ন করেনি এনসিটিবি। এতেই আটকে আছে ছাপার কাজ। অথচ চুক্তি অনুযায়ী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৯৮ দিনের গণনা শুরু করেছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। ছাপা শুরুর নির্ধারিত তারিখের পর পনেরো দিন পেরিয়ে গেলেও ছাপার কাজ আরম্ভ করেনি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো। মুদ্রণ সমিতি বলছে, বইয়ের পাণ্ডুলিপি হাতে পাওয়ার পরই এই দিন গণণা শুরু করতে হবে। এ নিয়ে মঙ্গলবার এনসিটিবির সঙ্গে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি বৈঠক করেছে। এখনো প্রাথমিকের কোনো বই ছাপা শুরু না হলেও এ বছরের দিন বাকি রয়েছে মাত্র ৯৯টি। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রাথমিকের ২৭টি বইয়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুই থেকে তিনটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি পেয়েছি। বাকি পাণ্ডুলিপি হাতে না পেলে কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বছর কাগজের কোনো সংকট নেই। বইয়ের গুণগত মান নিয়েও কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকবে না। শুধু বইয়ের পাণ্ডুলিপি না পাওয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছে ছাপার কাজ। দ্রুত পাণ্ডুলিপি হাতে না পেলে যথাসময়ে বই সরবরাহ করা চালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির এক সদস্য জানান, প্রাথমিকের বইয়ের মধ্যে গুণগত কিছু পরিবর্তন আসছে। এ জন্যই একটু বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি জানান, সব বইয়ের পেছনের কভারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংযোজন করা হয়েছে। এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা আশা করছি, শিগগিরই সব সিডি (বইয়ের পাণ্ডুলিপি) দিয়ে দেব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর