বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট বিপাকে ঢাকার মানুষ

হোটেলে বন্ধ তেহারি বিরানি বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে ঢাকা মহানগরীর প্রায় ৫ হাজার দোকানে মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে। হোটেলেও বন্ধ হয়ে গেছে তেহারি-বিরানি বিক্রি। ফলে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীবাসী। তবে এ অবস্থায় ভিড় বেড়েছে সুপার শপে। গাবতলী গরুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়, চাঁদাবাজি বন্ধসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ডাকে সোমবার ছয় দিনের এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই রাজধানীর কাপ্তান বাজার, গাবতলী, মিরপুর, পল্লবীসহ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে মাংসের দোকান বন্ধ দেখা গেছে। গরু ও খাসির মাংসের বড় বাজার কাপ্তান বাজারে সকালে দোকান বন্ধ দেখে খালি হাতে বাসায় ফেরেন অনেক ক্রেতা। জানা গেছে, মাংসের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় রাজধানীর সুপার শপগুলোয় ক্রেতার চাপ বেড়েছে। দৈনন্দিন পণ্যের সুপার শপ স্বপ্নের বিজয়নগর ও ওয়ারী শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, গরু ও খাসির মাংস শেষ হয়ে গেছে রবিবার দুপুরের আগেই। বিজয়নগর আউটলেটের অপারেশন ম্যানেজার ইবরাহিম জানান, সকাল ১০টার মধ্যেই তাদের গরুর মাংসের স্টক শেষ হয়ে গেছে। ধর্মঘটের কারণে স্বপ্ন মাংস বিক্রি বন্ধ রাখবে কিনা— জানতে চাইলে তিনি প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। স্বপ্নের গ্রাহকসেবা নম্বরে ফোন দিলে সেখান থেকে জানানো হয়, মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং তাদের মাংস বিক্রিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। সুপার শপ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানাব।’

মাংসের দোকান বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে রেস্তোরাঁয়ও। খাসির মাংস না পাওয়ায় কাচ্চি বিরানি করা যায়নি বলে জানিয়েছেন গুলিস্তানের ‘রাজধানী হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ’র ব্যবস্থাপক রজব আলী। তিনি বলেন, ‘দোকান সব বন্ধ, খাসি পাই নাই। তাই আজকে বিরানি, মাংসের আইটেম বন্ধ। এই কয় দিন মুরগির বিরানি হবে।’ কাপ্তান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মঞ্জুর জানান, অতিরিক্ত খাজনা আদায় আর চাঁদাবাজির কারণে গবাদিপশু কেনার সময় দাম বেশি পড়ে যায়।

সর্বশেষ খবর