ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা—আইসিসিবিতে জমে উঠেছে ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক মেলা। গতকাল দ্বিতীয় দিনে ক্রেতা-উদ্যোক্তার ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
মেলায় রয়েছে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিশ্বসমাদৃত ফেব্রিক পণ্যের বিশাল সমাহার। ১১তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো ২০১৭ উইন্টার এডিশন ও কনকারেন্ট এক্সিবিশন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডেনিম শো ২০১৭ উইন্টার এডিশন নামের এ মেলায় অত্যাধুনিক পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন উদ্যোক্তারা। মেলায় দেখা গেছে, চায়না, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় ১৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। প্রদর্শনীতে রয়েছে সকল প্রকার সুতা, ডেনিম, নিটেড ফেব্রিক্স, ফ্লিস্, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফাইবার, আর্টিফিশিয়াল লেদার, অ্যামব্রয়ডারি, বাটন, জিপার, লিনেন ব্লেন্ডসহ অ্যাপারেল পণ্য। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রদর্শনীটি গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির ভোক্তা, উদ্যোক্তা, আমদানিকারক, সরবরাহকারী সবার জন্য ওয়ানস্টপ প্লাটফরম। এখাকার স্টলে স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে গার্মেন্ট শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন মানের ফেব্রিকস, সুতা, বাটন। চীনের নামকরা শিল্পপ্রতিষ্ঠান এসব পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে। ফলে ক্রেতারা গার্মেন্ট শিল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে অর্ডার দিতে পারছেন। মেলার আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের গার্মেন্ট শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়ক হিসেবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। যেসব উদ্যোক্তা আন্তর্জাতিক মানের ফেব্রিকস সম্পর্কে বেশি ধারণা রাখেন না, তাদের জন্য এ প্রদর্শনী হবে শিক্ষণীয়। তা ছাড়া প্রদর্শনীতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারছেন। ফলে প্রদর্শনী ঘিরে দারুণ সাড়া পড়েছে। সকাল থেকেই বিপুল লোকসমাগম ঘটছে। অনেক উদ্যোক্তা আসছেন। উল্লেখ্য, গত বুধবার এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের অ্যাম্বাসাডর এইচই এমএ মিংকিয়াং, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বোস, এফবিসিসিআইর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, বিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, সিসিপিআইটি টেক্স চায়নার সেক্রেটারি জেনারেল ঝাং টো প্রমুখ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ডব্লিউটিও র্যাংকিংয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। যার প্রায় ৭ হাজার ৫০০ গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল কারখানায় ৭৫ ভাগ ফেব্রিক আমদানি হয়। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আন্তর্জাতিক আয়োজক সংস্থা সেমস্ গ্লোবাল ইউএসএ ও সিসিপিআইটি টেক্স চায়নার যৌথভাবে আয়োজিত এ প্রদর্শনী চলবে আগামীকাল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকছে। প্রদর্শনী পরিদর্শনের জন্য www.e-registrations.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রি-রেজিস্ট্রেশনও করা যাবে।