বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মাদকে সয়লাব পশ্চিম মাদারবাড়ি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

মাদকে সয়লাব পশ্চিম মাদারবাড়ি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের দুঃখ মাদক। মাদকই গিলে খাচ্ছে জাতির আগামীর সূতিকাগার তারুণ্য। সেই সঙ্গে বড় সড়কে প্রয়োজনীয় ফুটপাথ থাকলেও তা পথচারীদের জন্য নয়, পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাথ আছে কিনা অনেক জায়গায় তা বোঝার উপায় নেই। এখানে দিনরাত সমানতালে চলে পুরনো লোহার স্ক্র্যাপের ব্যবসা। ফলে নিত্য সঙ্গী যানজট, লোহা কাটার শব্দ দূষণ।  এক বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ ওয়ার্ডের লোকসংখ্যা ৭০ হাজার। ভোটার ২৭ হাজার ৫৩৬ জন। প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫টি, কিন্ডারগার্টেন তিনটি, এতিমখানা তিনটি ও ১৮টি

 ফোরকানিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, ডিটি রোডের ফুটপাথের অনেক অংশজুড়েই আছে স্ক্র্যাপ লোহার স্তূপ। রাতদিন চলে লোহা কাটাকাটি, সোজা করা, গাড়িতে মালামাল ওঠানামার কাজ। সড়কটাই যেন টার্মিনাল। ফলে সড়কে যানজট থাকে নিয়মিত। আর পলাশী মার্কেটের সামনে পরিবহন ব্যবসাকে ঘিরে যানজট, গ্রেডিংয়ের শব্দ মানুষকে অতিষ্ঠ করে তোলে। মাদক, ছিনতাই, চুরি, পানি সংকট, জলাবদ্ধতা, অপরিচ্ছন্নতা, অপ্রশস্ত অলিগলি, অপ্রতুল সড়কবাতির মতো সমস্যাগুলো স্থায়ী রূপ নিয়েছে। রেল লাইনসহ আশপাশের নির্জন এলাকায় সন্ধ্যার পর বসে মাদকের হাট। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ডিটি রোড এখন যানবাহন বা ফুটপাথ পথচারীদের জন্য নয়, ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। করুণা করেই কোনো রকমে গাড়ি যেতে দিচ্ছে। চলাফেরার কোনো উপায় নেই। নারী, শিশু, পুরুষ সবাই দুর্ভোগের শিকার হন। তাছাড়া এই ওয়ার্ডেই রেল, বাস, লঞ্চ স্টেশন ও ট্রাক টার্মিনাল  অবস্থিত।

এসব স্থানে ভাসমান মানুষ থাকে সব-সময়। ফলে মাদকের আধিক্যও থাকে। কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ জুবাইর বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা সামাজিক সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি পালন করে থাকি। তবে এ ব্যাপারে পুলিশ, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

সর্বশেষ খবর