শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

মিষ্টি আখে নোনতা স্বাদ!

লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হলেও লোকসান এড়ানো যাচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

মিষ্টি আখে নোনতা স্বাদ!

লক্ষ্যমাত্রার থেকেও এবার বেশি আখ সংগৃহীত হয়েছে রাজশাহীতে। অথচ নানা কারণে তা থেকে কাঙ্ক্ষিত চিনি উৎপাদন করতে পারছে না চিনিকলগুলো। সবাই বলছে, আখে আর আগের মতো স্বাদ নেই। সবটাতেই যেন নোনা স্বাদ। ফলে এবারও সরকারকে বিপুল অর্থের লোকসান গুনতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজশাহী চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এখানে আখ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৩ হাজার মেট্রিক টন। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আখ সংগৃহীত হয়েছে ৯৩ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন। ৭৩ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে বাড়তি ২০ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন আখ সংগ্রহ করেও চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ৯৩ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন হয়েছে ৫ হাজার মেট্রিক টনের মতো। এসব আখে চিনি আহরণের অনুপাত হার ৫ দশমিক ৮৫ ভাগ; যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ ভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক দেবদুলাল ঢালী বলেন, অনেক সময় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের মতো বৈরী আবহাওয়ার কারণে আখের চিনি আহরণের অনুপাত কমে যায়। এ ছাড়া জমি থেকে সময়মতো আখ কাটা না হলেও কমে আহরণের অনুপাত। আবার আখ কেটে দীর্ঘ সময় ধরে সুগার মিলে ফেলে রাখলেও কমে যায় চিনি।

এছাড়া রাজশাহী চিনি কলের পুরনো যন্ত্রপাতিগুলো কর্মক্ষমতা হারিয়েছে। যন্ত্রের কর্মক্ষমতা কমে আখ থেকে চিনি আহরণের অনুপাত হার কমে গেছে। রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশফাকুর রহমান বলেন, গত বছর চাষিদের কাছ থেকে ১১০ টাকা মণ দরে আখ কেনা হয়েছিল। এ বছর কেনা হয়েছে ১২৫ টাকায়। আগামী মৌসুমে আরও ১৫ টাকা বৃদ্ধি করে আখ কেনা হবে ১৪০ টাকায়। আখের দাম বৃদ্ধি করায় চাষিরা চিনিকলে আখ দিতে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। কিন্তু জমিতে মানসম্মত আখ উৎপাদন না হওয়ায় চিনি উৎপাদন ভালো হচ্ছে না বলেও মনে করেন তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর