বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
দুই মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

গণতন্ত্র সুদৃঢ় আছে বলেই জনগণ ইচ্ছামতো প্রার্থী নির্বাচিত করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলোয় বিভিন্ন দলের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় এটাই প্রমাণিত হয় দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা তাদের ইচ্ছামতো প্রার্থী নির্বাচিত করার সুযোগ পাচ্ছে। গতকাল সকালে তেজগাঁও কার্যালয়ে রাজশাহী ও সিলেটের নবনির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর শপথবাক্য পাঠ করান এবং এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জাফর আহমেদ খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও ৪০ জন কাউন্সিলর এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও ৩৬ জন কাউন্সিলর এ বছর ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত হন। শপথ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রাজশাহী ও সিলেটের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র মানে জনগণের ভোটের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। সে অধিকারের প্রতি আমরা সম্পূর্ণভাবে নিবেদিত। আমরা চাই জনগণের অধিকার জনগণের হাতেই থাকবে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব— এ স্লোগানটা আমারই ছিল। তিনি বলেন, কখনো কখনো ছোটখাটো ঘটনা ঘটে। যেখানেই ঘটে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় ছিল বলেই বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্ময়কর উন্নয়ন সাধন করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আর সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল বলেই এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

নির্বাচত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যে দলই করুন না কেন, আপনাদের মাথায় সব সময় এটাই রাখতে হবে যে, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। জনগণ আস্থা রেখে আপনাদের ভোট দিয়েছে। যে যে দলই করুন না কেন স্ব স্ব এলাকার ও জনগণের উন্নয়ই হবে আপনাদের কর্তব্য। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যে দলেরই হোক না কেন সরকারপ্রধান হিসেবে তাদের সব রকমের সহায়তা করার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তাদের সতর্ক করে তিনি এও বলেন, যদি কোনো অনিয়ম হয়; যদি সেখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদী কাজ হয়, সে যে দলেরই হোক, রেহাই পাবে না।

‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান, ২১০০’ নামে আগামী ১০০ বছরের পরিকল্পনা প্রণয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারাই ক্ষমতায় আসুক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে, বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায়, বাংলাদেশ যেন আর কখনো পিছিয়ে না যায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি আশা করব যে সরকারই আসবে শুধু নিজেদেরই ধনশালী, সম্পদশালী করবে না, জনগণ যেন ধনশালী, সম্পদশালী হয় সেদিকে নিবেদিত থাকবে, সেদিকেই দৃষ্টি দেবে।

সিলেটে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার কখনই কোনো রাজনৈতিক ভিত্তিতে স্থানীয় সরকারের বাজেট বরাদ্দ করে না। অতীতে তাঁর সরকার রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের জন্য ব্যাপক বরাদ্দ দিয়েছে। কে কোন দলের মেয়র তা চিন্তা না করে জনগণের কল্যাণের কথাটাই সরকার আগে চিন্তা করে।

সর্বশেষ খবর