আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সময় রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য, সরকার যে দায়িত্ব দেবে তা পালনে বিজিবি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আন্তরাষ্ট্রীয় সীমান্ত যাতে নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং শান্ত থাকে সেজন্য ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে সহযোগিতা কামনা করেছি। গত ৩ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিষয় জানাতে গতকাল দুপুরে বিজিবি সদর দফতরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সীমান্ত দিয়ে দেশে যেন কোনোভাবে অবৈধ অস্ত্র ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবি। নির্বাচনের সময় যেন সর্বশক্তি নিয়োগ করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমাদের সব প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকবে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাহিনীর কেউ ছুটিতে থাকবে না। এ ছাড়া বিভিন্ন কাজের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া হবে। যাতে বেশি পরিমাণে জনবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকতে পারে। দেশে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবার প্রবেশ কেন রোধ করা যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান বলেন, নিত্যনতুন পন্থায় ইয়াবা পাচার হচ্ছে। কুকুর দিয়ে সার্চ করেও অনেক সময় ইয়াবা জব্দ করা যাচ্ছে না। দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে জানিয়ে বিজিবির মহাপরিচালক একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০০১ সালে ৭১ জন, ২০১০ সালে ৬০ জন, ২০১৫ সালে ৪৫ জন, ২০১৬-তে ৩১ জন, ২০১৭ সালে ২২ জন ও চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একজন হত্যার শিকার হয়েছেন। সেক্ষেত্রে আশা করা যায় এই হত্যার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।