মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পাহাড়

৬ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা আদায় হয়নি ♦ সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছেই ৬৪৩ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পাহাড়

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে সরকারি, আধাসরকারি/বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন (প্রাইভেট) কোম্পানিগুলোর কাছে মোট ৬ হাজার ৮৮২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৬৪২ কোটি ৯৮ লাখ, আধাসরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৭৬৩ কোটি ৯০ লাখ ও প্রাইভেট (ব্যক্তিমালিকানাধীন) প্রতিষ্ঠানগুলোয় ৫ হাজার ৪৭৬ কোটি ৬ হাজার টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের গতকালের বৈঠকে নজরুল ইসলাম বাবুর (নারায়ণগঞ্জ-২) লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী, ৩২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখে প্রথম স্থানে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দ্বিতীয় স্থানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বকেয়া পরিমাণ ১৪২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। বকেয়ায় তৃতীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়, বকেয়া ১২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। চতুর্থ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বকেয়া ৭৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। পঞ্চম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বকেয়া ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ষষ্ঠ ধর্ম মন্ত্রণালয়, বকেয়া ৪৩ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং সবচেয়ে কম বকেয়া রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ে মাত্র ২০ হাজার টাকা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বকেয়া আছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ৫৩টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন : মাহফুজুর রহমান (চট্টগ্রাম-৩)-এর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে ১৩ হাজার ২৬৬                 মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ কেন্দ্রগুলো ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। নতুন ২ কোটি ১৭ লাখ সংযোগ : বজলুল হক হারুনের (ঝালকাঠি-১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন ২ কোটি ১৭ লাখ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ২৫ লাখে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়া জনগোষ্ঠীর পরিমাণ ৪৭% থেকে বেড়ে ৯২ ভাগে উন্নীত হয়েছে (নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। বিদ্যুতের সিস্টেম লসের পরিমাণ শতকরা ১৬.৮৫ ভাগ থেকে কমে ১১.৮৭ ভাগে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ২০০৯ সালের চেয়ে প্রায় চার গুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২০ হাজার ৮৫৪ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য) উৎপাদন হচ্ছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর