শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

অস্তিত্ব সংকটে সিলেট বিটিসিএল

রাতের আঁধারে লুট হয়ে যাচ্ছে সম্পদ, অভিযোগের তীর অসৎ কর্মচারীদের দিকে

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

এমনিতেই কমে যাচ্ছে গ্রাহক। তার ওপর লুট হয়ে যাচ্ছে সম্পদ। এ অবস্থায় দিন দিন অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) সিলেট অফিস। গত তিন মাসের মধ্যে বিটিসিএল সিলেট অঞ্চলের দুটি কেন্দ্রে তিনবার চুরির ঘটনা ঘটেছে।

কেন্দ্রগুলো থেকে চোরেরা নিয়ে গেছে ১২০টি মূল্যবান ড্রাই ব্যাটারি। এতে করে বিঘিœত হচ্ছে টেলিকমিউনিকেশন সেবাও। এর আগে সিলেট নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মাটির নিচ থেকে টেলিফোনের তার চুরির ঘটনাও ঘটেছে। রহস্যজনক এসব চুরির ঘটনার সঙ্গে বিটিসিএলের অসাধু কর্মচারীরা জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। সন্দেহ একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরাও। জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি রাতে বিশ^নাথ বিটিসিএল অফিসের জানালা ভেঙে অফিসের ৪৮টি ড্রাই ব্যাটারি চুরি হয়। ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিটিসিএল সিলেট অঞ্চলের লালাবাজার অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা একইভাবে জানালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ৪৮টি ড্রাই ব্যাটারি নিয়ে যায়। এর ২-৩ মাস আগেও লালাবাজার অফিসে একইভাবে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় চোরেরা নিয়ে গিয়েছিল আরও ২৪টি ব্যাটারি। শুধু ব্যাটারি নয়, গত বছর সিলেট নগরীর ব্যস্ততম জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখান, নাইওরপুলসহ এলাকার মাটির নিচ থেকে টেলিফোনের তার চুরির ঘটনা ঘটে। তার চুরির ঘটনার পর বিকল হয়ে পড়ে সিলেট কয়েক হাজার টেলিফোন সংযোগ। ওই ঘটনায়ও থানায় মামলা হয়। কিন্তু চক্রের কাউকেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সূত্র জানায়, এসব চুরির ঘটনার সঙ্গে বিটিসিএলের কিছু অসাধু কর্মচারী জড়িত। বিটিসিএলের লোকজন ছাড়া মাটির নিচের তারের পকেট পয়েন্ট চিহ্নিত করা বা চুরি কোনোটাই সম্ভব নয়। সিলেট অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল বাশার খান বলেন, তার ও ব্যাটারি চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা মোটেই সন্তোষজনক নয়। পুলিশ তৎপর হলে চোরাই মালামাল উদ্ধার এবং চোরদের গ্রেফতার করা সম্ভব হতো।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর