সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকায় যাত্রীবাহী বাস ৬টি কোম্পানির মাধ্যমে চলবে

---------- ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো ৬টি কোম্পানির মাধ্যমে চলবে। এর পদ্ধতি ও কৌশল কী হবে তা নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে রাজধানীতে আরও তিনটি এলাকায় সার্কুলার (চক্রাকার) বাস লাইন চালু করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে সড়কে প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চালানোর প্রবণতা কমবে এবং দুর্ঘটনা  হ্রাস পাবে। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে ১৭ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ‘ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এর পরপরই গণপরিবহনের যাত্রীদের মাঝে ফুল ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সুশৃৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়তে সবার সহযোগিতা চেয়ে কমিশনার বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও আইন না মানার প্রবণতার ফলে সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে। আইন না মানার সংস্কৃতি আমাদের বড় সমস্যা। সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অনুরোধ করব, আপনারা আইন মানুন, অন্যকে আইন মানতে উৎসাহিত করুন। সবার মাঝে আইন মানার মানসিকতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকলে সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

 সাম্প্রতিক অতীতে ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে ডিএমপির উদ্যোগের বিষয়টি উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গত বছর ৫ থেকে ১৪ আগস্ট ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন, ৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ট্রাফিক সচেতনতা মাস, ২৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ।

 চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ পালনের মাধ্যমে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক গাইড বুক প্রকাশ ও প্রচার, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান, টার্মিনালে সভা-সমাবেশ, সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন, লিফলেট, পোস্টার বিতরণ, পথচারীদের ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রাক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারে উদ্বুদ্ধকরণসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর