বাসচালকদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া কোনো চালক গাড়ি চালাতে পারবেন না। এ ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য পুশ বাটন ট্রাফিক সিগন্যাল চালু এবং প্রগতি সরণিকে মডেল সড়ক হিসেবে চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্র্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-কে দালালমুক্ত করতে ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির পরিচালক মো. মশিউর রহমান নিশ্চিত করেছেন। গতকাল দুপুরে রাজধানীতে গুলশানের ডিএনসিসির কনফারেন্স রুমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের এক বৈঠকে এসব কথা জানানো হয়। বৈঠকে সড়কের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ উঠে আসে। শিক্ষার্থীরাও তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্পর্কে জানান এবং তাদের আগের বৈঠকে করা মেয়রসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়ে কতদূর অগ্রগতি হয়েছে তা জানতে চান। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয় তা হলো- বিআরটিকে দালালমুক্ত করা, চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানোর বদলে চালকদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনা এবং ফুট ওভারব্রিজ তৈরির বদলে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া। এ ছাড়া তারা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার দাবি জানান। তারা এই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, হালকা গাড়ি চালানোর জন্য যে সব চালক লাইন্সেস পেয়েছেন তারা কীভাবে ভারী যান চালানোর সুযোগ পান। এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা এর কোনো জবাব দিতে পারেননি। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চালকদের ডোপ টেস্টের আওতায় এনেছি। এটি করতে পারলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। তবে এটি এক দিনের কাজ নয়। এ জন্য বাসমালিক ও চালকদের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মীর রেজাউল আলম বলেন, গত বছর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পর থেকে সড়কের বিশৃঙ্খলা রোধের বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে মনিটর করা হচ্ছে। শিক্ষার্থী সড়ক নিরাপত্তা যে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তা আমাদের চোখে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে। এ জন্য তাদের আমরা স্যালুট জানাই।