মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

সুদ হার এক ডিজিটে নামিয়ে আনার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের সব ব্যাংককে সুদের হার এক ডিজিটে নামিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংককে কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে রুগ্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে বন্ধ ও অচল কলকারখানা সচল করার ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি’র তৃতীয় বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ। কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ণ চন্দ চন্দ্র, মো. মাহবুব-উল-আলম হানিফ, মির্জা আজম ও মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংক ঋণে উচ্চহারে সুদের কারণে ঋণখেলাপি হয়। ব্যাংকগুলো চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নেয়। ব্যবসায়ীদের পক্ষে সেই সুদের হার মেটানো অসম্ভব হয়ে যায়।

কাজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছি, আগামী এক বা দুই মাসের মধ্যে সব ব্যাংককে ৯ শতাংশ হারে সুদ নির্ধারণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো বলেছিল, সরকারি টাকার ৫০ ভাগ আমানত জমা পেলে তারা এক ডিজিটে সুদহার বাস্তবায়ন করতে পারবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তারা সেই সুবিধা নিলেও এখনো সুদের হার এক সংখ্যায় আনতে পারেনি।

বৈঠকে বেসরকারি ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের ডাকা হলেও তাদের কেউ অংশ নেননি। এ নিয়েও কমিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের সুদ মওকুফের জন্য সরকার এর মধ্যে নীতিমালা জারি করেছে। ওই নীতিমালার ফলে অনেক রুগ্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বন্ধ ও অচল কলকারখানা সুদ মওকুফ সুবিধা পেয়েছে। ফলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের অবশিষ্ট অনাদায়ী/শ্রেণিকৃত ঋণ আদায় সহজতর হয়েছে। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশ ব্যাংক সংসদীয় কমিটিকে জানায়, দেশে পোশাকশিল্পের ২৭৯টি এবং নন-টেক্সটাইল শিল্পসহ শিল্পখাতের রুগ্ন শিল্পকারখানা ৪১১টি (১৪৭+২৬৪)। এর মধ্যে নন-টেক্সটাইল খাতের ৪২৬টি রুগ্ন শিল্পের জন্য সুদ ভর্তুকিসহ ঋণ পরিশোধের নমনীয় বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করায় অধিকাংশ ঋণ হিসাব নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে কমিটিকে জানানো হয়। বৈঠকে জাননো হয়, বৈঠকে বাংলাদেশ বাংকের ডেপুটি গভর্নর, রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর