বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

অবৈধ অটোর দখলে বগুড়ার রাজপথ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার সিএনজি গ্যাসে চালিত অটোরিকশার মধ্যে অধিকাংশই অবৈধভাবে চলাচল করছে। জেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশার ৯০ শতাংশের কোনো রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, রুটপারমিট, চালকের লাইসেন্স নেই। একদিকে যেমন সিএনজিগুলো দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে, অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। বগুড়া রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় এক হাজার সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার রয়েছে। এগুলোর রুটপারমিট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। অথচ বগুড়া জেলার বিভিন্ন রুটে কমপক্ষে সাড়ে ৫ হাজার সিএনজি চলাচল করে। চলাচলকারী অধিকাংশ সিএনজির সড়কে চলাচলের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই।

একটি সিএনজি সড়কে অনুমতি নিয়ে চলতে হলে কাগজ হালনাগাদ করে নিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে রুটপারমিট, ট্যাক্স, ফিটনেস ফি, ইন্স্যুরেন্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এসব পক্রিয়া শেষ করতে একটি সিএনজির পেছনে প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।

এ টাকা জমা না দিয়ে সিএনজি চালক ও মালিক কৌশলে সড়কে সিএনজি চালিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। অথচ এ পরিমাণ টাকা জমা দিলে সরকারের রাজস্ব আয় হতো কোটি কোটি টাকা। সরকার এ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতি বছর।

বগুড়া জেলা শহরের বনানী সড়ক, দত্তবাড়ি, গোহাইল রোড, বাদুরতলা ও স্টেশন রোডে চলাচলকারী সিএনজি স্ট্যান্ডটির কারণে পুরো সড়কে থাকে যানজট। জেলার স্টেশন রোডে সরকারি আজিজুল হক কলেজের অবস্থান থাকলেও সিএনজি চলাচল করছে দাপটে। দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলেছে।

বগুড়া ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বগুড়া শহরের মধ্যে সিএনজি প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময় ছাড়া মূল শহরে সিএনজি প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। হালনাগাদ না থাকা সিএনজি আটক করা হয়।

সর্বশেষ খবর