রবিবার, ১৯ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

তরুণ নেতৃত্ব রাজশাহীর রাজনীতিতে

বিএনপিসহ বাম রাজনৈতিক দলগুলোতে এখন তারুণ্যের জয়-জয়কার। দলের মূল নেতৃত্বে এখন তরুণ নেতারা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রজীবন শেষ করেই তিনি পেয়ে যান দলের মনোনয়ন। নির্বাচিত হয়ে চলে আসেন দলের মূল রাজনীতিতে। অনেকটা তরুণ বয়সে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। যুবদল নেতা হিসেবেই তার পরিচিতি বেশি। এখন তিনি বিএনপির নগর সভাপতি। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারও তরুণ। রাজশাহী গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক মুরাদ মোর্শেদও বয়সে তরুণ।

আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বাম রাজনৈতিক দলগুলোতে এখন তারুণ্যের জয়-জয়কার। দলের মূল নেতৃত্বে এখন এসব তরুণ নেতা। প্রবীণদের পাশাপাশি এসব তরুণ নেতা দলে গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছেন। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির ৪৩ সদস্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। যারা জেলা, মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর এখন জেলার দায়িত্বে। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন কামরুজ্জামান চঞ্চল। এখন তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রলীগ নেতা আহসানুল হক মাসুদ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। রোকনুজ্জামান রিন্টু জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত। এখন তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।

মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতেও তরুণরা আছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে। নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডাবলু সরকার এখন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ডাবলু সরকার যে কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, সেই কমিটির সভাপতি নাইমুল হুদা রানা এখন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। নগর কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইসতিয়াক লিমনও তরুণ। মহানগর যুবদলের সভাপতি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এখন তিনি নগর বিএনপির সভাপতি। সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন তরুণ নেতা। সাবেক ছাত্র নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, আর গোলাম মোস্তফা মামুন জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক। বয়সে তারা দুজনই তরুণ। বাম সংগঠনগুলোতেও তরুণদের আধিপত্য। গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মুরাদ মোর্শেদ, বাসদের দেবাশিষ রায়, ওয়ার্কার্স পার্টির নগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রমাণিক দেবু বয়সে তরুণ।

রাজনীতিতে তরুণদের এগিয়ে আসাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন প্রবীণ ও দলের শীর্ষ নেতারা। ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা মনে করেন, তরুণরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। সেখানে প্রবীণদের পাশাপাশি তরুণরা নেতৃত্বে এলে বরং রাজনীতির উপকার। তবে তরুণ নেতৃত্বের প্রতি তার পরামর্শ, তারা যেন নেতৃত্বের লোভে না পড়েন। দেশকে ভালোবেসে, দেশের কল্যাণে কাজ করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু মনে করেন, তরুণরা রাজনীতিতে এগিয়ে আসায় নেতৃত্বের সংকট দূর হবে। কিন্তু এখন তরুণরা রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়ছে। কারণ হিসেবে তিনি দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর