বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

উবার চালক হত্যায় ছিলেন তিনজন

মাহবুব মমতাজী

উবার চালক হত্যায় ছিলেন তিনজন

রাজধানীর উত্তরায় উবার চালককে গলা কেটে হত্যায় জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। ওই হত্যাকান্ডে  ব্যবহৃত ছুরিটি নিউমার্কেট এলাকা থেকে খুনিরা কিনেছিল- এমন ভিডিও ফুটেজ এবং তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জেরে উবার চালক আরমান ওরফে আমানকে (৪২) হত্যা করা হতে পারে।

এর আগে গত ১৪ জুন রাতে উত্তরায় সড়কে থেমে থাকা অবস্থায় একটি প্রাইভেট কারকে দেখতে পায় পথচারীরা। এ সময় ওই প্রাইভেট কারের হেডলাইট দুটি জ্বলছিল, ইঞ্জিনও চালু ছিল। চালকের আসনেও একজনকে বসে থাকতে দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ গাড়িটি এভাবে থাকায় কৌতূহলবশত এগিয়ে যান এক পুলিশ সদস্য। ভিতরে চোখ পড়তেই তিনি আঁতকে ওঠেন। দেখতে পান চালকের আসনে সিটবেল্ট বাঁধা অবস্থায় রয়েছে রক্তাক্ত নিথর দেহ। তার পাশের দরজাটি খোলা। পরে আশপাশের উৎসুক মানুষ গাড়িটি ঘিরে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে জানা যায়, ওই চালকের নাম আরমান। তিনি মোবাইল অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা উবারের গাড়ি চালক ছিলেন। তার স্বজনরা জানান, মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের ১২ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন আরমান। তার গ্রামের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফতেমোহাম্মদপুর এলাকায়। আরমান উবারের যে গাড়িটি চালাতেন তার মালিক থাকেন মিরপুর ১১ নম্বরে। বছরখানেক ধরে তিনি এ মালিকের গাড়িতে কাজ করছিলেন। ঘটনার দিন দুপুরে গাড়ির মালিকের ছোটভাই অন্তরের সঙ্গে মিরপুরের একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করেন। এরপর অন্তরকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যান আরমান।

 রাত ১১টা ২১ মিনিটে তিনি রামপুরার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে যান। রাত ১২টা ৪ মিনিটে তিনি গন্তব্যে পৌঁছান। এরপরই তার মিরপুরে ফেরার কথা ছিল। তবে রাত ১টা পর্যন্ত তিনি না আসায় তার নম্বরে কল করেন অন্তর। অপরিচিত কেউ কল রিসিভ করে জানান- ফোনের মালিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান অন্তর। সেখানে গিয়ে গাড়ির ভিতর আরমানের গলা কাটা লাশ দেখতে পান।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মশিউর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, চাঞ্চল্যকর ওই খুনের ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। খুনিদের ইতিমধ্যে শনাক্ত করা গেছে। দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

সর্বশেষ খবর