মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

এটিএম কার্ডের উচ্চ কর, সংকটে ব্যাংকিং খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

এটিএম কার্ডের ওপর আরোপিত উচ্চ কর হারের কারণে বড় ধরনের সংকটে পড়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত। জানা গেছে, বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ইস্যু প্রকল্পগুলো থেমে গেছে। আগে অল্প খরচে কার্ড কিনে প্রায় সবগুলো ব্যাংক বিনা মূল্যে গ্রাহকদের সরবরাহ করত। কিন্তু উচ্চ কর হারের কারণে কমেছে কার্ডের আমদানি। ফলে ব্যাংকগুলো বিনা মূল্যে ডেবিট কার্ড প্রদান করছে না। এতে অচিরেই ব্যাংকিং খাতের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম বড় ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে দেশের বিশিষ্ট ব্যাংকার নুরুল আমিন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এটিএম কার্ড আমদানিতে উচ্চ কর আরোপের ফলে সরকারের ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ার কাজ থমকে যাবে। সরকার যেখানে চায় কাগজবিহীন লেনদেন, সেখানে এ ধরনের উচ্চ কর হার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ব্যাংকগুলো চায় খরচ কমাতে। কিন্তু কর আরোপ করে খরচ বাড়ানো হলো। এটা ঠিক না। আবার অভ্যন্তরীণভাবেও এ ধরনের এটিম কার্ড উৎপাদনে সক্ষম নয় বাংলাদেশ।’ জানা গেছে, দেশে একটিমাত্র কার্ড উৎপাদনকারী কোম্পানির কারখানা থাকলেও তাদের উৎপাদিত কার্ড নিম্নমানের। উচ্চ কর আরোপের মাধ্যমে এই কোম্পানিকে এক ধরনের মনোপলি বা একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এই কোম্পানিটি অচিরেই এটিএম কার্ডের মূল্য বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে। ফলে যেসব ব্যাংক ইতিমধ্যে মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডাইনারস, জেসিবি এবং চায়না ইউনিয়ন পে-সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, তারা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বে।

 গ্রাহকরাও ডিজিটালাইজেশন সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।

জানা গেছে, দেশে কার্ডের চাহিদা এখন বছরে ১০ থেকে ১২ লাখ। এত দিন একটি উৎপাদনকারী কারখানার সঙ্গে ১২টি কোম্পানি এটিএম কার্ড আমদানি করত। ব্যাংকগুলো দেশে উৎপাদিত কার্ডের পাশাপাশি জার্মানি, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরে উৎপাদিত কার্ড সংগ্রহ করত। ফলে ভালো মানের কার্ডগুলো কম খরচে ব্যবহারের সুযোগ ছিল। কিন্তু উচ্চ কর আরোপ করায় দেশে উৎপাদিত নিম্নমানের কার্ড কিনতে বাধ্য হচ্ছে ব্যাংকগুলো।

সর্বশেষ খবর