খুলনায় ছয় ঘণ্টায় ১১৪ মিলিমিটারের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে মহানগরীসহ আশপাশের এলাকা তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন সড়কে হাঁটু পানি জমে জলাবদ্ধতা সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। অভিজাত আবাসিক এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলের বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। খুলনা আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার রাত ৩টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত। এরপর থেমে থেমে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হতে থাকে। এদিকে নদীতে জোয়ারের কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন না হওয়ায় বিভিন্ন সড়কে পানি জমে তা কাদা-পানির ডোবায় পরিণত হয়। আবার কোথাও নোংরা পানির সঙ্গে আবর্জনায় পুরো সড়ক ভরে যায়। ছোট বড় খানাখন্দে বেহাল দশায় পড়েন নগরবাসী। সরেজমিনে দেখা যায়, ভারি বৃষ্টিতে মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা (১ম ফেজ), গোবরচাকা নবীনগর, মুজগুন্নী বাস্তুহারা, শামসুর রহমান রোড, কেডিএ এভিনিউ এলাকায় অধিকাংশ ভবনের নিচতলায় পানি প্রবেশ করেছে। সকাল থেকেই পানিতে নিমজ্জিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা যায়। এ ছাড়া নিম্নœাঞ্চলের ঘরবাড়িতে হাঁটুপানি থাকায় ঘরের মালামাল উঁচু খাট বা টেবিলের ওপর রাখা হয়েছে। রান্নার অভাবে পরিবারের সদস্যরা শুকনা খাবার খেয়ে দিন পার করছেন। অনেকের ছোট ছেলেমেয়েদের পাঠানো হয়েছে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। এসব এলাকার দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না। একইভাবে ড্রেনের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মহানগরীর পূর্ব বানিয়াখামার, শান্তিধাম মোড়, রয়্যালের মোড়, পিটিআই, নিরালা, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, খানজাহান আলী রোড, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, খালিশপুর, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, অপ্রশস্ত ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল ভরাট, অবৈধ দখল ও ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় তা ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে ড্রেন উপচে নোংরা পানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে প্রবেশ করে। এতে দুর্ভোগের শিকার হন নগরবাসী। খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, অধিকাংশ জায়গায় অবৈধ দখলের কারণে পানি নিষ্কাশনের খালগুলো ভরাট ও দখল হয়ে গেছে। এ কারণে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ড্রেনগুলো প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পাম্প করে শহরের বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, টেকনিক্যাল কমিটি মাঠপর্যায়ে জরিপ করে পানি নিষ্কাশনের নদী ও খালের ৪৬০ জন দখলদার ও ৩৮২টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছে। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে শিগগিরই টানা অভিযান শুরু হবে। খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা খুলনায় এ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
শিরোনাম
- ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৩২ শতাংশই ৫-২৯ বছর বয়সী’
- টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
- চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত
- কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
- ভিসা আবেদনকারীদের জন্য ব্রিটিশ হাইকমিশনের সতর্কবার্তা
- সরকারী অফিসে আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক নারী জেলহাজতে
- বিসিসির উচ্চবিলাসী প্রকল্প বাতিলের দাবি গণসংহতির
- ফসল উৎপাদনে সারের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে গাকৃবিতে কর্মশালা
- রাঙামাটিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
- তারেক রহমানের জন্মদিনে বগুড়ায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
- ভালুকায় তারেক রহমানের জন্মদিনে রক্তদান ও চারা বিতরণ কর্মসূচি
- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
- নেপালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির সমর্থকদের সঙ্গে জেন-জি’র সংঘর্ষ
- ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
- আরব সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান
- দিনাজপুরে উন্নত জাতের ভুট্টার গবেষণার প্রদর্শনী মাঠ উদ্বোধন
- পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন হবে তুরস্কে
- গোপালগঞ্জে বিনামূল্যে ২ হাজার কেজি ব্রি-১০৮ ধানবীজ বিতরণ
- ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকিতে যুদ্ধ থামিয়েছে ভারত-পাকিস্তান, দাবি ট্রাম্পের
তীব্র জলজটে খুলনা
ছয় ঘণ্টার রেকর্ড বৃষ্টি, বাসা বাড়িতে পানি, দুর্ভোগ চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর