শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
কঠিন চীবর দানোৎসব

রাজবন বিহারে পুণ্যার্থীর ঢল

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাজবন বিহারে পুণ্যার্থীর ঢল

বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গতকাল শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দানোৎসব ঘিরে রাঙামাটির রাজবন বিহারে নামছে পুণ্যার্থীদের ঢল। গতকাল বাংলাদেশের প্রধান এ বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীবর (গেরুয়া বস্ত্র) তৈরি শেষ করে তা দান করার মধ্য দিয়ে এ মহাপুণ্যাযজ্ঞ শেষ হবে আজ। বিকাল ৩টায় পুণ্যার্থীদের পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে বেইনঘর উদ্বোধন করেন আর্যপুরুষ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের উত্তরসূরি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ অন্য শিষ্যম লী। এরপর চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ফিতা কেটে বেইনঘরে বুনন এবং চরকায় সুতা কাটা উদ্বোধন করেন। এ সময় রাঙামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাঙামাটির রাজবন বিহার বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত। এ বৌদ্ধ বিহারে প্রতি বছর আয়োজিত কঠিন চীবর দানোৎসবে সমাগম ঘটে লাখো পুণ্যার্থীর। এবারও ঢল নামছে অসংখ্য নারী-পুরুষের।

রাঙামাটি রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, চীবর দানোৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে শান্তির বার্তা বয়ে আসবে।

রাঙামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, ১৯৭৩ সালে রাজবন বিহারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা বের করে বুনন, রংকরণ ও সেলাইসহ কাপড় তৈরি শেষে দানকার্য সম্পাদন করা হয়। একমাত্র বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজবন বিহার এবং শাখা বন বিহার ছাড়া বিশ্বে আর কোথাও বিশাখা প্রবর্তিত হাজার বছরের নিয়মে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এ মহাপুণ্যাযজ্ঞ সম্পাদন হয় না। গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় তার প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা কেটে রংকরণ, বয়ন ও সেলাই শেষে চীবর (বিশেষ পরিধেয় বস্ত্র) দানকার্য সম্পাদন করেছিলেন। সে থেকে এ নিয়ম পালন করে আসছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়।

সর্বশেষ খবর