শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সড়কে ফের ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের শঙ্কা

আইন বাস্তবায়নে বিলম্ব

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরে অভিযান পরিচালনা করলেই মিলছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ডকুমেন্ট হালনাগাদ না থাকা, ফিটনেসহীন গাড়ি, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক, হেলমেট না পরা ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা। তবে গত ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নের পর থেকে সড়কে এসব অনিয়ম কিছুটা কমতে শুরু করে।  কিন্তু গত বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আগামী জুন পর্যন্ত আইন প্রয়োগ না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। ফলে সড়কে আবারও ত্রুটিপূর্ণ যানাবাহন, মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সসহ নানা অনিয়ম শুরু হওয়ার শঙ্কা আছে। ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, আইন বাস্তবায়ন বিলম্ব বা শিথিল করার মাধ্যমে সড়কে বিশৃঙ্খলার বিষয়টি থেকেই গেল। অথচ নতুন আইন বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকে সড়ক কিছুটা হলেও শৃঙ্খলার পথে আসছিল। এখন আবারও সড়কে লক্কড় ঝক্কড় গাড়ি, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চলবে। ফলে দুর্ঘটনাও বাড়বে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরে ১৯৯০ থেকে নিবন্ধিত যানবাহন আছে প্রায় দুই লাখ  ২০ হাজার। তবে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কোনো                পরিসংখ্যান সংস্থাটির কাছে নেই। কিন্তু সড়কে প্রতিনিয়তই চলছে ফিটনেসহীন ও লক্কড় ঝক্কড় গাড়ি, আছে লাইসেন্সবিহীন চালক। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে অনেক যানবাহনের লাইফ টাইম (মেয়াদকাল)। ফলে চরম ঝুঁকি নিয়েই চলানো হয় গাড়িগুলো। অন্যদিকে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার যানবাহন থাকলেও নিবন্ধিত লাইসেন্স আছে এক লাখ ১৫ হাজার ৪০৯টি। ফলে লাইসেন্সবিহীন চালকের সংখ্যাও এক লাখের বেশি। প্রতিনিয়ত এ সব চালকের দখলেই থাকে গণপরিবহনের স্টিয়ারিং। ফলে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।

বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মোহাম্মদ তৌহিদুল হোসেন বলেন, সরকার সহানুভূতিশীল হয়ে  জুন মাস পর্যন্ত সময় দিয়েছে। আশা করছি সরকারের এ সুযোগের কেউ কোনো অপব্যবহর করবে না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর