রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চালের দাম বাড়ায় আমরা খুশি : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। সরকার চালের এ মূল্যবৃদ্ধিতে খুশি। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে কৃষিতত্ত্ব সমিতির ১৮তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াইস কবির, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ড. ওমর আলী প্রমুখ। আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের চালের উৎপাদন বেড়েছে। আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। চালের দাম বাড়াতে আমরা খুশি। গত আট মাস যাবৎ চাচ্ছি চালের দাম বাড়ুক। চালের দাম না বাড়লে চাষিরা উৎপাদন খরচ কীভাবে তুলবে? আমাদের ট্রাক যায় প্রতিদিন। এক ছটাক চাল বিক্রি করতে পারে না। ৩০ টাকা কেজির চাল কেউ নেয় না। ডিলারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে মোটা চাল তোলার জন্য, কিন্তু তারা তুলছে না। মোটা চাল খারাপ কিছু না। মোটা চাল খাবে না কেন মানুষ! মোটা চালের দাম এক টাকাও বাড়েনি। তার পরও মিডিয়া বলছে চালের দাম বেড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত আট মাস মিডিয়ায় লেখালেখি হচ্ছে কৃষক চালের দাম পাচ্ছে না। পাইকাররা চালের দাম নিয়ে যাচ্ছে। সরকার কিছু করছে না। সুশীলসমাজ প্রচ-ভাবে আমাদের সমালোচনা করে আসছিল। নানাভাবে বলেছি, আমরা চেষ্টা করছি কৃষককে ন্যায্যমূল্য দেওয়ার। কিন্তু পারছি না। চাষিরা চাষাবাদ করে, কঠোর পরিশ্রম করে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা কাজ করে। সেই কৃষক ধানের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। এজন্য আমরা চিন্তিত ছিলাম। নানারকম কর্মপদক্ষেপ নিয়েছি। পলিসি লেভেলে এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আট মাস ধরে মিডিয়া আমাদের সমালোচনা করেছে। সংবাদপত্রে বেশকিছু নিউজ হয়েছে সরকারকে বিব্রত করে। সেই প্রতিবেদনগুলোয় বলা হয়েছিল পিয়াজের মতো দাম বাড়ছে চালের।’ কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। এ দেশের শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ গ্রামে থাকে। গ্রামবাসীদের মূল জীবিকা কৃষি। এটা শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই উপলব্ধি করেন। কৃষক যখন ধান বিক্রি করতে পারছিল না, কৃষকের দুঃখ-কষ্টের কথা আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলেছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী নীরবে শুনতেন কৃষকের দুঃখ-কষ্টের কথা। শুনে তিনি ব্যথিত হতেন, কষ্ট পেতেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- “সারা জীবন দেখলাম হাড্ডিসার মানুষ। খাবার পায় না। ঘর নাই, চুলা নাই। সে দেশে আজ ধান উদ্বৃত্ত রয়েছে। আবার ধান বিক্রি করা যায় না। এই বিড়ম্বনা আর ভালো লাগে না”।’

সর্বশেষ খবর