সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নদীগর্ভে বিলীন গ্রামের পর গ্রাম

বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নদীগর্ভে বিলীন গ্রামের পর গ্রাম

কুমিল্লার মেঘনায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে গতকাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে রামপ্রসাদ চরের জনগণ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইজারার বালুমহালের পরিবর্তে রহস্যজনকভাবে অন্য এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে এলাকায় মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, চালিভাঙা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদুল লতিফ, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর, নলচর, ফরাজীকান্দি ও মৈশারচরের বাসিন্দারা জানান, ভাঙনের ভয়াবহতা তুলে ধরে মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, ভূমি সচিবসহ বিভিন্ন দফতরে বসতভিটা রক্ষার আবেদন করেও কাজ হয়নি।

আবেদনপত্র সূত্রে জানা যায়, ২ নম্বর ভাসানিয়া দড়িচর মৌজায় নলচর মেঘনা নদীর ভরাটিয়া বালুমহাল এবং ৬ নম্বর সেনেরচর ও ১ নম্বর সাপমারা চরেরগাঁও বালুমহাল দুটি মেসার্স ফরহাদ ট্রেডার্স ইজারা নেয়। প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন না করে ২ নম্বর ভাসানিয়া দড়িচর মৌজা ও ৬ নম্বর সেনেরচর মৌজায় ভূমিহীনদের জন্য বন্দোবস্ত দেওয়া জমি এবং সাধারণের আবাদি জমিতে ৪০-৫০টি ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে ফেলেছে। এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে রামপ্রসাদের চর, নলচর, ফরাজীকান্দি ও মৈশারচর গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে বসতভিটা হারিয়ে পথে নেমেছে রামপ্রসাদের চর গ্রামের ২৪১টি পরিবার। ২৯৭ পরিবার হারিয়েছে আবাদি জমি। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে দুটি মসজিদ, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ২৫০ একর ভূমি। নলচর, ফরাজীকান্দি গ্রামেরও শত শত একর আবাদি জমি ও বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বালুমহালের ওপর উচ্চ আদালত নিষেধাজ্ঞাও দেয়। কিন্তু বালু দস্যুরা কখনো বালুমহালের নাম বদলে ইজারা, কখনো ইজারা এলাকার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলন করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর